সিরাজগঞ্জের তাড়াশে ডায়রিয়ার প্রকোপ বেড়েছে। বিশেষ করে শিশুরা এ রোগে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। গত তিনদিনে জরুরি বিভাগে ২৪ জন ডায়েরিয়ার রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন। বহিঃবিভাগে চিকিৎসা নিয়েছেন আরও অনেকেই। প্রতিদিনই ডায়রিয়ার রোগী বাড়ছে বলে জানিয়েছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বরত উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার আব্দুল মাজেদ জানান, বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) জরুরি বিভাগে ১১ জন ডায়রিয়ার রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন। ৯ জনকে ভর্তি করা হয়েছে।
সিরাজগঞ্জ সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে তাপ প্রবাহের জন্য এক বিশেষ জনস্বাস্থ্য বার্তায় বলা হয়, তীব্র গরমে মাথা ব্যথা, জ্বর, মাথা ঘোরা ও বমি বমি ভাবসহ শারীরিক অসুস্থতা বোধ করলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে অথবা নিকটস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে যোগাযোগ করতে।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছে চার শিশু। এছাড়াও পুরুষ ও নারী ওয়ার্ডে আরও বেশ কয়েকজন ডায়রিয়ার রোগীর চিকিৎসা চলছে।
মাগুড়া বিনোদ ইউনিয়নের ঘর গ্রামের রবিউল করিমের স্ত্রী বিলকিছ খাতুন বলেন, তার দুই বছরের ছেলে মেহেদী হাসানের ঘন ঘন পাতলা পায়খানা ও বমি হতে থাকে। পরে চিকিৎসকের পরামর্শে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
প্রতাব গ্রামের সবুজ হোসেনের স্ত্রী জোসনা খাতুন বলেন, তার মেয়ে সুমাইয়া (১১) মারাত্মক ডায়রিয়া আক্রান্ত হওয়ায় হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. মনোয়ার হোসেন বলেন, গরমে পর্যাপ্ত পরিমানে নিরাপদ খাবার পানি পান করতে হবে। সহজলভ্য মৌসুমী রসালো ফলমূল খেতে হবে। বাইরের খোলা খাবার না খাওয়াই ভালো। বাড়িতেও বাসি খাবার পরিহার করতে হবে। খুব বেশি প্রয়োজন না হলে বাইরে না যাওয়া ভালো।
সিরাজগঞ্জ সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডা. রমিজুল ইসলাম বলেন, বিশেষ করে শিশুদের ছাঁয়ায় খোলা বাতাসে রাখতে হবে। ভ্যাপসা গরমে ঘরের মধ্যে রাখা ঠিক হবে না। এতে গরমে ডায়রিয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। ডায়রিয়া বন্ধ হওয়ার পর শিশুকে এক বেলা বেশি খাবার দিতে হবে। তাতে শরীরের ঘাটতি পূরণে সহায়ক হবে।