শীতে বেড়ে যায় খুশকির সমস্যা। এ সময় চুল হয়ে পড়ে খুবই রুক্ষ ও শুষ্ক। বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ কম থাকায় শীতে মাথার ত্বকের শুষ্কতাও বাড়ে। ফলে কমবেশি সবার স্ক্যাল্পেই দেখা দেয় খুশকির সমস্যা।
আবার অনেকে সারাবছরই খুশকির সমস্যায় ভোগেন। এর মূল কারণ হতে পারে চুলের প্রতি অযত্ন ও অবহেলা। তবে চাইলে খুব সহজেই কিন্তু খুশকির সমস্যার সমাধান করতে পারবেন। জেনে নিন তেমনই ঘরোয়া ৩ উপায়-
স্ক্যাল্প শুষ্ক হলে খুশকি বাড়ে। এ কারণে শীতে শুষ্ক ত্বকের সমস্যায় খুশকি হতে পারে। তাই স্ক্যাল্পে ও শরীরের অন্যান্য অংশে আর্দ্রতা বজায় রাখার চেষ্টা করুন।
আবার অপরিষ্কার স্ক্যাল্পও হতে পারে খুশকির অন্যতম কারণ। নিয়মিত শ্যাম্পু করে স্ক্যাল্প পরিষ্কার না রাখলে খুশকিও বাড়বে।
ম্যালাসেজিয়া নামক একটি ফাঙ্গাসের কারণে খুশকি হয়। এছাড়া স্ক্যাল্পে কোনো গুরুতর সমস্যা থাকতে পারে। এ রকম হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
খুশকি তাড়ানোর ঘরোয়া উপায় কী?
নিম ব্যবহার করুন
নিমে থাকে অ্যান্টি মাইক্রোবায়াল ও অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান, যা ড্যানড্রফ দূর করে। এর অ্যান্টি ফাঙ্গাল উপাদানও স্ক্যাল্প ভালো রাখে। ‘ব্রাজিলিয়ান জার্নাল অব মাইক্রোবায়লজি’তেও নিমের এই অ্যান্টি ফাঙ্গাল গুণের বিষয়ে উল্লেখ করা হয়েছে।
কয়েকটি শুকনো নিম পাতা ভালো করে গুঁড়া করে নিয়ে এর সঙ্গে অলিভ অয়েল ভালো করে মিশিয়ে নিন। এই পেস্ট আপনার স্ক্যাল্পে ও চুলের গোড়ায় খুব ভালো করে লাগিয়ে নিন। ঘণ্টাখানেক রেখে শ্যাম্পু করে ফেলুন।
পেঁয়াজের রস লাগান
পেঁয়াজের রসে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি ফাঙ্গাল উপাদান আছে। ভিটামিন সি ও ভিটামিন বি ৬ এ ভরপুর পেঁয়াজ খুশকির সমস্যা কমায়।
এজন্য বড় একটি পেঁয়াজ ব্লেন্ড করে নিন। সেই পেস্ট থেকে রস ছেঁকে বের করে তা আঙুলের সাহায্য়ে স্ক্যাল্পে লাগিয়ে নিন।
এতে স্ক্যাল্পে রক্ত সঞ্চালন বাড়বে ও চুলের গোড়ায় পর্যাপ্ত পরিমাণে অক্সিজেন পৌঁছায়। পাশাপাশি খুশকির সমস্যাও কমে। এরপর আধা ঘণ্টা অপেক্ষা করে শ্যাম্পু করে ফেলুন।
লেবুর রসের ব্যবহার
খুশকির সমস্যায় ব্যবহার করতে পারেন লেবু। এতে প্রচুর পরিমাণে সাইট্রিক অ্যাসিড ও ভিটামিন সি থাকে। এই উপাদান চুলের গোড়া খুশকিমুক্ত করে।
তবে লেবুর রস কখনো সরাসরি চুলে ব্যবহার করবেন না। এর অ্যাসিডিক উপাদান আপনার চুলের ও স্ক্যাল্পের ক্ষতি করতে পারে। হেয়ারপ্যাকে বা মেহেদির সঙ্গে পাতিলেবু ব্যবহার করতে পারেন।