শষ্ক ত্বকে অন্যান্য ত্বকের তুলনায় বেশি যত্ন নিতে হয়। আর শীতকালে যাদের শুষ্ক ত্বক তাদের সমস্যা আরো বেড়ে যায়। আর এই সমস্যা থেকে মুক্তির জন্য বেশ কয়েকজন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ টিপস দিয়েছেন।
শুষ্ক ত্বক বছরের ৩৬৫ দিনই শুষ্ক থাকে। অনেক ময়েশ্চারাইজার ব্যবহারের পরেও তেমন কোন লাভ হয় না। বাজারের কসমেটিকসের উপর নির্ভরতা কমিয়ে ঘরে বানানো জিনিস দিয়ে ত্বকের পরিচর্যা করুন। এতে করে লাভ পাবেন কয়েক গুণ বেশি।
চর্ম বিশেষজ্ঞরা বলেছেন যাদের ড্রাই স্কিন গোসল করা বা সাঁতার কাটার পরে তাদের সমস্যা কয়েকগুণ বেড়ে যায়। অনেকসময় বিষয়টি অস্থায়ী হতে পারে আবার অনেক সময় সারা জীবনও থাকতে পারে।
বয়স, স্বাস্থ্য ও আরো অন্যান্য বিষয়ের উপর ত্বকের ধরণ নির্ভর করে। আর শীতকালে এমনিতে স্কিন শুষ্ক হয়ে যায়। জ্বলন্ত চুলা, ফায়ার প্লেস, হিটার স্কিনকে আরো শুষ্ক করে তোলে। দীর্ঘ সময় ধরে গরম পানি দিয়ে গোসল করাও একটা বড় কারণ।
ত্বকের শুষ্কতা চুলকানির কারণ হতে পারে এছাড়া ত্বকের বিভিন্ন র্যাশ বা ফাটল ধরা দেখা যেতে পারে। বাড়িতে কিছু টিপস মেনে চললে শুষ্ক স্কিন থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
নারিকেল তেল:
নারকেল তেলের বিভিন্ন স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। এই তেল ইমলিয়েন্ট বৈশিষ্ট্যযুক্ত এবং শুষ্ক ত্বকের জন্য ভাল কাজ করে। নারিকেল তেল ত্বককে হাইড্রেট করে এবং মসৃণ করে তোলে।
গোপাল জল:
গোলাপ জল ত্বককে ময়েশ্চারাইজার করে এবং পিএইচ এর ভারসাম্য বজায় রাখে। ত্বকের আদ্রতা বজায় রাখার জন্য গোলাপ জল ব্যবহার করুন।
পেট্রোলিয়াম জেলি:
পেট্রোলিয়াম জেলি বহু বছর ধরে ত্বকে ব্যবহার করা হয়। এটি ত্বকে একটি প্রতিরক্ষামূলক স্তর গঠন করে এবং ত্বকের নিচের আর্দ্রতা বজায় রাখে। এটি শুষ্ক ত্বকের জন্য উপকারী।
পেঁপে:
ত্বকের ময়েশ্চারাইজারের জন্য পেঁপে পরিচিতি। এছাড়া ত্বক উজ্জ্বল করে পেঁপে। রোদে পোড়া দাগ দূর করতেও সাহায্য করে পেঁপে।
চাল ধোওয়া পানি:
শুষ্ক ত্বকের জন্য যাদুকরী ভূমিকা পালন করে চাল ধোওয়া পানি। এটি ত্বকের পিএইচ স্তরের ভারসাম্য বজায় রাখে এবং আর্দ্রতা ধরে রাখতে সহায়তা করে।
এছাড়া ত্বককে উজ্জ্বল করতে,নিস্তেজতা দূর করতে চাল ধোওয়া পানি অনেক উপকারী। এটি আপনার মুখ এবং শরীরের জন্য ত্বকের টোনার হিসাবে ব্যবহার করা যেতে পারে।
সূর্যমুখীর তেল:
সূর্যমুখীর তেলে যে ভিটামিন ই রয়েছে তা ত্বককে ভিতর থেকে হাইড্রেট করে। এছাড়া এই তেল হাঁপানী সহ বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্তি দেয়।
মধু:
শুষ্ক ত্বকের চিকিৎসার জন্য মধু একটি আদর্শ পছন্দ। এটিতে প্রচুর ভিটামিন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল এবং অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল গুণ রয়েছে। আপনি মধু ফেস মাস্ক হিসাবে ব্যবহার করতে পারেন এবং এর পরে গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে পারেন।
অ্যাভোকাডো:
বাড়িতে অ্যাভোকাডো দিয়ে ফেস মাস্ক বানিয়ে ব্যবহার করুন। অ্যাভোকাডোর পাল্প সেই সাথে মধু ও অলিভ ওয়েল মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন এবং স্কিনে ব্যবহার করুন। এরপর ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।
ঘরে বানানো যাই ব্যবহার করুন না কেন তা সঠিক নিয়মে করুন এবং ধারাবাহিকতা বজায় রাখুন।