নাসিম রুমি: সন্তানকে সাফল্যের শিখরে পৌঁছে দিতে চাইলে তার ব্রেনের কার্যক্ষমতা বাড়াতেই হবে। তাহলেই তো সে সাধারণের মাঝে অসাধারণ হয়ে উঠবে। তবে মুশকিল হলো, এখনকার শিশুরা নিয়মিত এমন কিছু খাবার খায়, যা তাদের ব্রেনের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।
আরও মুশকিল হলো, বাবা-মায়েরা নিজেদের অসচেতনতার জন্য এই দৃশ্য দেখার পরও সন্তানের স্বাস্থ্যের দিকে সেভাবে নজর দেন না। ফলে ধীরে ধীরে কমতে শুরু করে সন্তানের মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা।
তাই জল অনেক দূর গড়িয়ে যাওয়ার আগেই সাবধান হতে হবে। সেক্ষেত্রে তড়িঘড়ি জেনে নিন এমন কিছু খাবার সম্পর্কে, যেগুলো নিয়মিত খেলে সন্তানের ব্রেনের কার্যক্ষমতা কমে যায়।
কোল্ড ড্রিংকসেই বিপদ
গরম পড়তে না পড়তেই সবাই মিলে কোল্ড ড্রিংকস খেয়েই চলেছেন। এমনকি শিশুরাও বড়দের দেখাদেখি এই পানীয়ে চুমুক দিচ্ছে। এই ভুলটা করছে বলেই তাদের শরীরের পাশাপাশি ব্রেনের উপরও নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।
আসলে কোল্ড ড্রিংকস হলো চিনি বা মিষ্টির ভাণ্ডার। যে কোনো সুগারি পানীয় কিন্তু ব্রেনের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। এমনকি নিয়মিত এসব পানীয় খেলে শরীরেরও একাধিক ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই সন্তানকে নিয়মিত এই পানীয় খেতে দেবেন না।
রিফাইন কার্বের থেকে রাখুন দূরে
গবেষণায় দেখা গেছে, যে কোনো রিফাইন কার্ব জাতীয় খাবার খেলে কিন্তু শরীরে সুগার লেভেল অনেকটাই বেড়ে যায়। সেই কারণে বিপদে পড়ে মস্তিষ্ক। তাই সন্তানকে ভুলেও রিফাইন কার্ব জাতীয় খাবার খেতে দেবেন না।
এবার মাথায় প্রশ্ন আসতেই পারে, ঠিক কোন কোন খাবারে রয়েছে রিফাইন কার্ব? উত্তর হলো, মিষ্টি এবং ময়দার তৈরি যে কোনো খাবার হলো রিফাইন কার্বের প্রকৃষ্ট উদাহরণ। তাই সন্তানের ডায়েটে থেকে এসব খাবারকে বিদায় করে দিন।
বিপদের অপর নাম ট্রান্স ফ্যাট
রাস্তার বিভিন্ন খাবার উচ্চ তাপে তেল পুড়িয়ে রান্না করা হয়। এমনকি কিছু কিছু ক্ষেত্রে একই তেলে বারবার হয় রান্না। সেই কারণে এসব খাবার খেলে শরীরে প্রবেশ করে ট্রান্স ফ্যাট। এই উপাদান কিন্তু ছোটদের ব্রেনের ক্ষতি করে দেয়। শুধু তাই নয়, এই ক্ষতিকর ফ্যাটের প্রভাবে হার্টেরও বাজতে পারে বারোটা। তাই আর সময় নষ্ট না করে আজ থেকেই তাকে বাইরের খাবার খেতে বারণ করুন। তাতেই উপকার মিলবে হাতেনাতে।
প্রসেসড ফুড হলো সর্বনাশা
চিপস, ইনস্ট্যান্ট নুডলস, মিষ্টি, মাইক্রোওয়েভ পপকর্নের মতো খাবার হলো প্রসেসড খাবারের সেরা উদাহরণ। এসব প্রক্রিয়াজাত খাবারে প্রচুর পরিমাণে লবণ, চিনি এবং ফ্যাট মেশানো থাকে। এই উপাদান কিন্তু শরীরের বড়সড় ক্ষতি করে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে।
তাই সন্তানকে ভুলেও রোজ রোজ প্রসেসড খাবার খেতে দেবেন না। তার বদলে তাকে বাড়িতে তৈরি হালকা খাবার খাওয়ান। তাতেই উপকার মিলবে হাতেনাতে।
পারদ থাকা মাছ নয়
কিছু সামুদ্রিক মাছে প্রচুর পরিমাণে পারদ থাকে। এই ধাতু কিন্তু মস্তিষ্কের ভয়াবহ ক্ষতি করে। তাই ছোট্ট সোনাকে অহেতুক সামুদ্রিক মাছ খাওয়াবেন না। তার বদলে নিয়মিত পুকুর বা নদীর মাছ খাওয়ান। এই নিয়মটা মেনে চললেই বাড়বে শিশুর বুদ্ধি। সেই সঙ্গে সুস্থ থাকবে শরীর।