সম্পর্কে থাকলে সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজটি হলো, অন্যকে ভালোবাসার নিজস্ব ক্ষমতা বাড়ানো এবং কী করলে সম্পর্ক ভালো থাকবে তার ওপর কাজ করা। কিন্তু সেই কাজটা মনে হয় আমরা কম করি। সফল দম্পতিদের সম্পর্কে আমাদের ভুল ধারণার প্রবণতা রয়েছে। আমরা ভেবে নিই তাদের সম্পর্ক চমৎকার।
এককথায় বলতে গেলে উদার থাকার অর্থ হলো-
** উভয়ই উভয়ের পাশে আছি। অর্থাৎ ‘আমি তোমার পাশে আছি’ এবং ‘আমি তোমার পিছেই আছি’।
** রাগে মন খারাপ হলেও পাশে আছি। থাকব।
** একে অপরের ভালো দিকটাই দেখার চেষ্টা করব।
সম্পর্কে সমস্যা আসবেই। সমস্যা সমাধানের জন্য সচেতন থাকতে হবে এবং ক্রমাগত চেষ্টা করে যেতে হবে। অবশ্যই এই প্রচেষ্টা দুজনের মধ্যেই থাকতে হবে। এর কারণ, দুজনকেই দুজনের মনের অবস্থা এবং সম্পর্কের অবস্থা জানতে হবে। এর ফলে উদারতার বিষয়টা চলে আসবে। একে অপরকে বুঝতে পারবেন, ভালোবাসতে পারবেন এবং সম্মান দিতে পারবেন।
উদারতার বিষয়টা নিজের মধ্যে থাকলে যেটা হবে, সমস্যা হলে সমাধানের চেষ্টায় আসবেন সহজেই। রাগের মাথায় আমরা অনেক কিছু বলে ফেলি। মাথা খারাপ হয়ে যায়। ওই অবস্থায় মাথা খারাপ না করে সঙ্গীকে সময় দিতে পারবেন। বোঝাতে পারবেন। সঙ্গীর মধ্যেও এই বিষয়টা থাকলে ব্যাপারটা আরো সহজ হয়ে যাবে। ঝগড়া বা রাগ হলেও আমরা কাছাকাছি যেতে পারি, সংযোগ সেতু তৈরি করতে পারি এবং একে অপরের সঙ্গে একটি সুস্থ সম্পর্ক ধরে রাখতে পারি।
২. নিজের দিকটা নিজেই আগে ভেবে দেখা, তারপর কথা বলা
সম্পর্কে একটা বিষয়ে দুইজনের ভিন্নমত চলে এলো। এ ক্ষেত্রে নিজেকে আগে জিজ্ঞেস করা, আমি ঠিক করছি কি না? অথবা রাগ হয়ে খারাপ ব্যবহার করে ফেলছি কি না? কেউ কাউকে অপমান না করে তর্কটা এগিয়ে নিচ্ছি কি না?
আসলে আমরা চাইলে নিজেদের পরিবর্তন করতে পারি। যদিও কষ্ট হয়ে যায়। তবুও চেষ্টা করতে দোষ কী? যদি এর ফলে একটি সুস্থ সম্পর্ক ধরে রাখা যায়। সঙ্গীকে পরিবর্তন না করে নিচের কাজগুলো আমরা করতে পারি।
** নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ দক্ষতা বাড়ানোর জন্য কী করতে পারি?
** আমার কী কী ভুলের কারণে সম্পর্কের ক্ষতি হতে পারে।
** আমার সঙ্গীর ভালো দিকগুলো বিবেচনা করব সব সময়।
** গ্রহণযোগ্যতা বাড়াতে হবে নিজের সঙ্গীকে পরিবর্তন না করে।