গুমোট গরমে অস্বস্তি বেড়ে চলেছে। তীব্র তাপদাহের হাত থেকে রক্ষা পেতে ছাতা, সানগ্লাস, সুতির জামাকাপড় পরার পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে পানি খেতে হবে। একইভাবে ত্বকের যত্ন নিতে হবে।
রূপবিশেষজ্ঞদের মতে, এই সময়ে ত্বককে রোদে তাপ থেকে বাঁচাতে বেলা ১১টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত বাইরে বের না হওয়াই ভালো। তার পরেও যদি বাইরে যেতেই হয় তাহলে অবশ্যই ফুলহাতা পোশাক পরুন। পাশাপাশি টুপি ও ছাতা ব্যবহার করবেন। সেই সঙ্গে ত্বকে মেখে নিন সানস্ক্রিন। কারণে রোদে সানস্ক্রিন ছাড়া বেরোনো মানেই বিপদ। এই গরমে বাড়িতে রান্না করার সময়ও সানস্ক্রিন লাগানো উচিত।
সানস্ক্রিনের প্রয়োজনীয়তা কোনও ঋতুতেই কম নয়। তবে, গ্রীষ্মকালে সানস্ক্রিন ব্যবহারের প্রতি বেশি সচেতন হওয়া জরুরি। এজন্য রোদে বেরোনোর ১৫ থেকে ৩০ মিনিট আগে ত্বকে সানস্ক্রিন লাগান। শুধু মুখে সানস্ক্রিন লাগালে চলবে না। দেহের যে সব অংশ খোলা থাকবে বা সূর্যালোকের সংস্পর্শে যে অংশ আসবে সেখানে অবশ্যই সানস্ক্রিন মাখবেন। অর্থাৎ ঘাড়, হাত, পায়ে সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন। সূর্যালোকে যদি দীর্ঘক্ষণ সময় কাটাতে হয় তাহলে প্রতি ২ ঘণ্টা পর পর সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন।তবে মনে রাখবেন, সময় ও নিয়ম মেনে সানস্ক্রিন মাখাই যথেষ্ট নয়। সানস্ক্রিন বিভিন্ন এসপিএফ-এ পাওয়া যায়। এই এসপিএফ হল সূর্য রশ্মির হাত থেকে সুরক্ষার সূত্র। উচ্চ এসপিএফসহ একটি সানস্ক্রিনের অর্থ এই নয় যে, এটি আপনাকে দীর্ঘ সময়ের জন্য সূর্যের রশ্মি থেকে রক্ষা করবে। এসপিএফ আপনাকে অতি বেগুনি রশ্মির হাত থেকে আরও ভাল সুরক্ষা দেবে। তাই এসপিএফ-এর মান যাচাই না করে সানস্ক্রিন কিনবেন না। এই গরমে ৩০ এবং তার চেয়ে বেশি এসপিএফ যুক্ত সানস্ক্রিন ব্যবহার করা উচিত।
বাজারে সানস্ক্রিন ক্রিম, জেল ও স্প্রে আকারে পাওয়া যায়। আপনার ত্বক যদি তৈলাক্ত হয় তাহলে সানস্ক্রিন জেল ও স্প্রে ব্যবহার করতে পারেন। হাতে, পায়ে সানস্ক্রিন ব্যবহারের ক্ষেত্রে সানস্ক্রিন স্প্রে ব্যবহার করতে পারেন। এমন অনেকেই আছেন, যাদের সানস্ক্রিন মাখলেই ত্বক ঘামতে শুরু করে। সেক্ষেত্রে ভিটামিন সি সিরাম ব্যবহারের পর সানস্ক্রিন মাখুন। এতে ত্বক ঘামবে না।