বর্তমানে কমবেশি সকলের বাড়িতেই ফ্রিজ আছে। বেঁচে যাওয়া খাবার কিংবা আগে থেকে কিনে সংরক্ষণ করে রাখার জন্য মূলত ফ্রিজের ব্যবহার হয়ে থাকে। শাক-সবজি, ফল, রান্না করা তরকারি, দই-মিষ্টি প্রায় সবই ফ্রিজে রাখা আমাদের স্বভাব।
কিন্তু ফ্রিজে রাখা দই খেলে যে তার থেকে পুষ্টিগুণ মিলবে না, তা আমরা অনেকেই জানি না।উলটো যেকোনো সময় বিষাক্ত হয়ে উঠতে পারে তা। আর খাদ্যে বিষক্রিয়া ঘটলে দেখা দিতে পারে জটিল শারীরিক সমস্যা, এমনকি প্রাণহানিও ঘটতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, শীতকালে ফ্রিজে দই রাখা বিপজ্জনক হতে পারে। কারণ দইতে উপস্থিত প্রোবায়োটিক ব্যাকটেরিয়া রেফ্রিজারেটরের ঠাণ্ডা তাপমাত্রায় নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
অনেক সময় আমরা অভিযোগ করি, শীতে রেফ্রিজারেটরে রাখা দই থেকে অদ্ভুত গন্ধ বের হতে শুরু করে। শীতকালে দই ফ্রিজে রাখলে কখনো কখনো তা খাদ্যে বিষক্রিয়ার মতোও সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে।
ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি
রেফ্রিজারেটর বা ফ্রিজে দই রাখলে দইতে ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি হতে পারে। যা দই নষ্ট করে দিতে পারে এবং স্বাস্থ্যগত সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে।
প্রোবায়োটিক ব্যাকটেরিয়া নষ্ট হয়ে যায়
দইয়ে উপস্থিত প্রোবায়োটিক ব্যাকটেরিয়া রেফ্রিজারেটরের ঠাণ্ডা তাপমাত্রায় নষ্ট হতে পারে। এটি দইয়ের হজম ক্ষমতা হ্রাস করতে পারে এবং এর স্বাস্থ্য উপকারিতা হ্রাস করতে পারে। এই প্রোবায়োটিক ব্যাকটেরিয়া দই সেট করতে সাহায্য করে। কিন্তু অনেক বিশেষজ্ঞের মতে, দই ফ্রিজে রাখলে তা সঠিকভাবে জমে যেতে পারে না, বিশেষ করে শীতকালে। তাই এটি এড়ানো উচিত।
দইয়ের গুণগত মানের অবনতি
ফ্রিজে রাখলে দইয়ের গুণগত মান কমে যেতে পারে। দইয়ের স্বাদ ও গঠন পরিবর্তিত হতে পারে, যা এর স্বাদ ও পুষ্টিগুণ হ্রাস করতে পারে। শীতকালে দই ফ্রিজে রাখলে তা দইয়ের গুণগত মানের ওপরও প্রভাব ফেলে।
শীতকালে দই সংরক্ষণের জন্য নিম্নলিখিত বিষয়গুলো মনে রাখতে পারেন
- দই ঘরের তাপমাত্রায় রাখুন।
- দই একটি বায়ুরোধী পাত্রে রাখুন।
- দই নিয়মিত নাড়ুন, যাতে এটি শক্ত না হয়ে যায়।
- ১-২ দিনের মধ্যে দই শেষ করুন, যাতে নষ্ট না হয়।