কানের ময়লা পরিষ্কারের জন্য কতজনই না কতকিছু করেন। কেউ কটনবাড ব্যবহার করেন, কেউ আবার বিশেষজ্ঞের কাছে দৌড়ান। তবে কানে জমে থাকা ময়লাগুলো কিন্তু আসলে মোমজাতীয় এক পদার্থ। যা কানের সুরক্ষা প্রদান করে।
এ কারণে কান বেশি খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে সেগুলো বের না করায় ভালো। কারণ সেগুলো স্বাভাবিকভাবেই কান থেকে বেরিয়ে যায় বিভিন্ন সময়ে। তবে কয়েকটি কারণে সেগুলো বের হতে পারে না, ফলে কানের মধ্যে বেড়ে যায় ওয়াক্সের পরিমাণ।
ফলে কানে অস্বস্তি, শোঁ শোঁ শব্দ, ব্যথা, কানে কম শোনা বা বিরক্তিকর কারণ হতে পারে। ভুলবশত যারা কটনবাড দিয়ে আপনার কান পরিষ্কার করেন, তারা কিন্তু আরও খারাপ অবস্থার সৃষ্টি করেন।
আসলে কানের মোমের গঠনকে আরও খারাপ করে তুলতে পারে কটনবাড। বিশেষজ্ঞের মতে, কানের মোমগুলো জীবাণু থেকে রক্ষা করতে ও কান পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে।
বুপা হেলথ ক্লিনিকের একজন জিপি ডা. সামান্থা ওয়াইল্ডের মতে, কানের ময়লা বা খোল আপনাআপনিই কান থেকে বেরিয়ে আসে।
তবে যদি কোনো কারণে সেগুলো কান থেকে না বের হতে পারে, তাহলে কানে অবরুদ্ধভাব, কানে ব্যথা, শ্রবণশক্তি কমে যাওয়া, টিনিটাস ও মাথা ঘোরার মতো লক্ষণ দেখা দিতে পারে।
বিশেষজ্ঞের মতে, এমন অনেক জিনিস আছে যা কানের স্বাভাবিক মোম নিষ্কাশনে বাধা সৃষ্টি করে। যেমন- ইয়ারফোন, শ্রবণযন্ত্র, ইয়ারবাডের ব্যবহার ইত্যাদি। জেনে নিন কীভাবে-
কটনবাড
কটনবাড দিয়ে কান পরিষ্কারের ক্ষেত্রে মোমগুলো ধাক্কা লেগে আরও ভেতরে চলে যায়। হার্লে স্ট্রিট ইএনটি ডাক্তারদের মতে, এমনকি কানের পর্দাও ফেটে যেতে পারে কটনবাড ব্যবহারের অভ্যাসে।
নিয়মিত কটনবাড ব্যবহারে মোমগুলো সব একত্র হয়ে শক্ত হয়ে যায়, ফলে শ্রবণশক্তি কমে যায়। এমনকি অত্যধিক শক্তি প্রয়োগের ফলে রক্তপাত ও ক্ষতের সৃষ্টি হয় কানে।
সাঁতার
সাঁতার কাটার কারণে ‘ওটিটিস এক্সটার্না’ নামক এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ ঘটতে পারে কানে। ফলে প্রদাহ বা জ্বালার সৃষ্টি হয়। এই ব্যাকটেরিয়া কানের পর্দা পর্যন্ত পৌঁছে যায়।
ফলে সাঁতারুদের কানে ইয়ারওয়াক্স তৈরি হতে পারে। এর চিকিৎসায় ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করতে ও ব্যথা কমাতে কানের ড্রপের প্রয়োজন হয়।
ইয়ারফোন
বর্তমানে ইয়ারফোন ব্যবহার করেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া মুশকিল। হোক সেটি তারযুক্ত কিংবা ব্লুটুথ। অত্যধিক ব্যবহৃত এই প্রয়োজনীয় গ্যাজেট কিন্তু কানের জন্য খুবই ক্ষতিকর, এমনটিই মত ডা. ওয়াইল্ডের।