বর্তমানে সঙ্গে মানিব্যাগ না থাকলে ফোনটি নিতে কেউ ভুল করেন না। সঙ্গে ফোন থাকলে টাকারও সমস্যা নেই। যে কোনো জায়গায় অনলাইন পেমেন্ট করতে পারছেন কিংবা টাকা বের করে বিল মেটাতে পারছেন।
নারীরা ব্যাগে বা পার্সে নিতে পারছেন কিন্তু ছেলেদের প্যান্টের পকেটেই বহন করতে হচ্ছে। সাবধান হন, ভুল পকেটে রাখলে বিশেষ ক্ষতি হতে পারে। এমনকী বিস্ফোরণও হতে পারে।
স্মার্টফোন যে শরীরের পক্ষে খুব একটা ভালো নয়, সেটা অনেকেই জানেন। কিন্তু মোবাইল ছাড়া থাকাও প্রায় অসম্ভব। ফোন শরীর থেকে যত দূরে রাখা যায় ততই মঙ্গল। এই সাবধানবানী প্রায়শই দিয়ে থাকেন চিকিত্সকরা।
কিন্তু প্রকৃতপক্ষে তা মেনে চলা বেশিরভাগ মানুষের পক্ষেই অসম্ভব। আবার স্মার্টফোন পকেটে রাখলে শরীরের খুবই ক্ষতি। কোন পকেটে রাখলে বিস্ফোরণ হওয়ার আশঙ্কা থাকে জেনে নিন। ভুল পকেটে রেখে নিজের বিপদ ডেকে না আনার পরামর্শ দিয়ে থাকেন বিশেষজ্ঞরা।
আপনার স্মার্টফোনটি সঠিক জায়গায় রাখলে শুধু আপনি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবেন না কিন্তু সারাদিনের কোনো কাজ করতেও কোনো সমস্যা হবে না। ফোনটি যাতে হারিয়ে না যায় বা ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেজন্য এটি নিরাপদ রাখাও গুরুত্বপূর্ণ।
অনেকে তাদের প্যান্টের পেছনের পকেটে স্মার্টফোন রাখেন। কেউ প্যান্টের পেছনের পকেটে রাখেন নেহাত স্টাইলের জন্য। অনেকে আবার বুক পকেটে রাখেন না শরীরের কথা ভেবে। তাই তারা প্যান্টের পেছনের পকেটে রাখেন।
তবে ফোন প্যান্টের একেবারে পেছনের পকেটে রাখা মোটেই উচিত নয়। কারণ পেছনের পকেটে যথেষ্ট আঁটোসাটো হয়। স্মার্টফোন ক্রমাগত ব্যবহারের কারণে মাঝে মাঝে গরম হয়ে যায়।
এমন পরিস্থিতিতে ফোনের ব্যাটারি আঁটসাঁট পকেটে রাখলে ফুলে ও ফেটে যাওয়ার আশঙ্কা বাড়ে। শুধু তাই নয়, পেছনের পকেটে ফোন রাখলে আরও বেশ কয়েকটি সমস্যা হতে পারে।
বসার সময় বা বসে থাকলে ফোন পড়ে যাওয়ার বা স্ক্রিন ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। হাঁটার সময় ফোন পড়ে যাওয়ারও সম্ভাবনা থাকে। এছাড়া পেছনের পকেট থেকে ফোন চুরি করাও চোরদের জন্য সহজ।
ফোনটি প্যান্টের সামনের পকেটে রাখতে হবে। এটি ফোনে কম চাপ দেয় এবং এটি নিরাপদ থাকে। এছাড়া ব্যাগে ফোন রাখাই সবচেয়ে নিরাপদ। এতে ফোন নিরাপদ থাকে এবং চুরির ঝুঁকিও কমে।