সারা দিন আপনি বাইরে নানা কাজে ব্যস্ত থাকলেও দিনশেষে ঘরই আপনার প্রকৃত আশ্রয়স্থল। তাই ঘরটি যদি পরিপাটি থাকে তবে মন থাকে ফুরফুরে। বিশেষ করে ঘরের মেঝেতে পা রেখে যদি পরিচ্ছন্ন অনুভূত হয় তখন কাজ করে আলাদা রকমের প্রশান্তি। একটু কৌশল অবলম্বন করে আপনার ঘরের মেঝেকেও রাখতে পারেন পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন। সেজন্য-
► প্রতিদিন আপনার ঘরের মেঝে পরিষ্কার করুন ভ্যাকুয়াম ক্লিনার দিয়ে। তারপর ভিজে নরম কাপড় বা মপ দিয়ে মুছে নিন। মোছার সময় অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল লিকুইড দিতে ভোলা যাবে না। এতে মশা, মাছি, আরশোলার উপদ্রব থেকে আপনি থাকবেন নিশ্চিন্ত।
► আপনার ঘরের মেঝে যদি সাদা মার্বেলের হয়ে থাকে তা পরিষ্কার রাখা কষ্টকরই বটে। কিন্তু আপনিও চাইলে মেঝেটি ঝকঝকে রাখতে পারেন। সেজন্য তারপিন তেলে সামান্য লবণ মিশিয়ে মুছে নিন। এতে সাদা রং আবার স্বমহিমায় ফিরে আসবে।
► প্রতিদিনই কাজের ফাঁকে সামান্য অসাবধানতায় মেঝে নোংরা হয় চা-কফির দাগে। এই দাগ দূর করতে এক ভাগ সাদা ভিনেগারের সঙ্গে দুই ভাগ পানি মিশিয়ে স্প্রে বোতলে ভরে রাখুন। যখনই কোথাও দাগ তৈরি হবে মিশ্রণটি ব্যবহার করা যাবে। এই মিশ্রণ চা-কফির দাগ তুলতে অতুলনীয় ভূমিকা পালন করে।
► কারপেট পরিষ্কার করার জন্য বিশেষ ধরনের ব্রাশ ব্যবহার করুন। প্রতিমাসে অন্তত দুবার কারপেট পরিষ্কার করুন। ভ্যাকুয়াম ক্লিনার দিয়ে কারপেট পরিষ্কার করা সবচেয়ে ভালো।
► টাইলসের মেঝের দাগ তোলার জন্য গরম পানিতে লবণ গুলে মুছে নিন। দেখুন কী রকম ঝকঝক করবে।
► কাঠের মেঝের দাগ তুলতে পানিতে বেকিং সোডা মিশিয়ে, নরম কাপড় দিয়ে মুছে নিন। কাঠের মেঝে পরিষ্কার করার জন্য ক্লিনজার (অ্যামোনিয়া ফ্রি) দিয়ে মুছে নিন।
► বাথরুমের মেঝে খুব সহজেই নোংরা হয়। বেশিক্ষণ ভিজে থাকে বলে জীবাণু জন্মায়। তাই বাথরুম ব্যবহার করার পর একবার শুকনো করে মুছে নিন। তবে কখনোই খুব বেশি গরম পানি দিয়ে বাথরুমের মেঝে পরিষ্কার করা যাবে না। এতে বেসিন কমোড ক্র্যাকড হয়ে যায়।