ভিটামিন ‘ডি’ হলো এমন একটি ভিটামিন, যা আমাদের শরীরের হাড়ের সুগঠনের জন্য প্রয়োজন। ভিটামিন ‘ডি’-এর উপস্থিতিতে আমাদের শরীর ক্যালসিয়াম শোষণ করতে পারে। ভিটামিন ‘ডি’ আমাদের শরীরের আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে যেমন—রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, জীবাণুুর বিরুদ্ধে কাজ করে, মাংসপেশির সুরক্ষা দেয় এবং ব্রেনের কর্মক্ষমতা ঠিক রাখে।
ভিটামিন ‘ডি’-এর উৎস
সূর্যালোকের উপস্থিতিতে আমাদের ত্বক ভিটামিন ‘ডি’ উৎপন্ন করতে পারে অর্থাৎ সূর্যালোক ভিটামিন ‘ডি’-এর উৎস।
এ ছাড়াও সামুদ্রিক মাছ ভিটামিন ‘ডি’-এর উৎস। সূর্যের আলোতে না গেলে বা কম গেলে ভিটামিন ‘ডি’-এর ঘাটতি হতে পারে। সূর্যের আলো ভিটামিন ‘ডি’-এর সবচেয়ে ভালো উৎস। এ ছাড়াও বেশ কিছু খাবারে ভিটামিন ‘ডি’ রয়েছে। যেমন—
– সামুদ্রিক মাছ
– ডিমের কুসুম
– কলিজা
– মাখন
– পনির
এ ছাড়া এখন কিছু খাবার যেমন দুধ, মাশরুম, ইয়োগার্টে ভিটামিন ‘ডি’ ফর্টিফায়েড করা হচ্ছে।
লক্ষণ
বাচ্চাদের ক্ষেত্রে ভিটামিন ‘ডি’-এর ঘাটতির লক্ষণ—
– গ্রোথ বৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত হতে পারে
– হাড়ে ব্যথা
– মাংসপেশিতে ব্যথা
– পা বেঁকে যাওয়া
বড়দের ক্ষেত্রে ভিটামিন ‘ডি’-এর ঘাটতির লক্ষণ—
– শরীর ব্যথা
– হাত পা কামড়ানো
– মুডের পরিবর্তন/বিষণ্নতা।
– দুর্বল লাগা
– হাড় এবং মাংসপেশিতে ব্যথা
ভিটামিন ‘ডি’ ঘাটতি প্রতিরোধে করণীয়
– প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টার মধ্যে সূর্যের আলো শরীরে লাগানো।
– ভিটামিন ‘ডি’-এর ঘাটতি সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করা
– ঘাটতি থাকলে ভিটামিন ‘ডি’ সাপ্লিমেন্ট খাওয়া
ভিটামিন ‘ডি’-এর ঘাটতির সঙ্গে কিছু দীর্ঘমেয়াদি রোগের সম্পর্ক পাওয়া গেছে গবেষণায়
যেমন—ডায়াবেটিস, অ্যালার্জি, অ্যাজমা, রিউমাটরেড আর্থ্রাইটিস ইত্যাদি। এ ছাড়াও বাচ্চাদের রিকেটস, বড়দের অস্টিওপোরেসিসের ভিটামিন ‘ডি’-এর ঘাটতির সঙ্গে সম্পর্কিত। ভিটামিন ‘ডি’-এর ঘাটতি থাকলে সূর্যের আলোতে থাকতে হবে, ভিটামিন ‘ডি’ সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে এবং প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শে ভিটামিন ‘ডি’ সাপ্লিমেন্ট নিতে হবে।
পরামর্শ দিয়েছেন
ডা. মো. মাজহারুল হক তানিম
কনসালট্যান্ট
ডা. সিরাজুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল
মালিবাগ, ঢাকা