ব্রণের সমস্যায় ছেলে মেয়ে অনেকেই ভোগেন। ব্রণ তাড়াতে নেন ত্বকের বিশেষ যত্নও। একটি পণ্যে কিংবা ঘরোয়া উপাদান ব্যবহারে উপকার না পেলে অন্যটি খুঁজতে থাকেন। ফেসবুক রিলস, ইউটিউব ভিডিওতে বিভিন্ন হ্যাকস ও রূপচর্চার ভিডিও থেকে সমাধান খোঁজেন অনেকে। আবার অনেকে হাতের কাছে থাকা উপাদান দিয়ে রূপচর্চা শুরু করেন। তারা ব্রণ তাড়াতে সরাসরি ত্বক ও ব্রণের ওপর লেবুর রস ব্যবহার করেন। এতে হীতে বিপরীত হয়।
এটি ঠিক, প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহারে ত্বকের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে। কিন্তু সব প্রাকৃতিক উপাদানই ত্বকের জন্য ভালো এমনটা ভাবা ঠিক নয়। হেঁশেলে এমন অনেক উপাদান থাকে, যা ব্রণ, দাগছোপ দূর করতে উপযোগী। যেমন হলুদ, কাঁচা দুধ ইত্যাদি। আবার এমনও উপাদান রয়েছে, যা অনেকেই মুখে মাখেন, কিন্তু তা ত্বকের জন্য ভালো নয়। এমনই একটি উপাদান হলো লেবুর রস। বিশেষজ্ঞরা ত্বকে সরাসরি লেবুর রস মাখতে নিষেধ করছেন। যদিও লেবুর অ্যাসিডিক বৈশিষ্ট্য দাগছোপ দ্রুত তোলে। কিন্তু নিয়মিত লেবুর রস মাখলে ত্বক সংবেদনশীল হয়ে উঠবে। রোদে বাইরে গেলে ত্বক জ্বলতে পারে।
ঘরোয়া টোটকায় লেবুর রস যত কম ব্যবহার করবেন, ত্বকের জন্য তত ভালো বলে মনে করছেন রূপ বিশেষজ্ঞরা। যদিও লেবুর রস ব্যাকটেরিয়া দূর করতে সাহায্য করে, কিন্তু নিয়মিত ভুলেও এটি ব্যবহার করা চলবে না। তবে সরাসরি লেবুর রস ব্যবহার না করতে পারলেও, অন্যান্য উপাদানের সঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করা যাবে।
লেবুর রস ও মধু
মুখের কালচে দাগ, ব্রণ ইত্যাদি দূর করতে মধুর সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে লাগান। ১৫ মিনিট রেখে মুখ ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে দুই দিন এটি ব্যবহার করতে পারেন।
লেবুর রস ও কমলার রস
সম্পরিমাণ লেবু ও কমার রস একসঙ্গে মিশিয়ে মুখে লাগান। ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এই প্যাক ব্রণ দূর করার পাশাপাশি ত্বক উজ্জ্বল করবে।
ব্রণ তাড়াতে আরও যা করতে হবে
ব্রণ থেকে মুক্তি পেতে চিনি থেকে দূরে থাকুন। চিনি খেলে ত্বকের উপর তার সরাসরি প্রভাব পড়ে। চিনি কোলাজেনকে ভেঙে দেয় এবং হিলিং প্রক্রিয়াকে ধীর করে দেয়। ত্বকে অকাল বার্ধক্য দেখা দেয়। ত্বক এক্সফোলিয়েশনের জন্যও অনেকেই চিনির স্ক্রাব ব্যবহার করেন। ত্বকের উপর অতিরিক্ত ঘষাঘষিরও কিন্তু মারাত্মক ফল হতে পারে। ব্রণ, র্যা শের সমস্যাও দেখা দিতে পারে।