বেকিং সোডা হচ্ছে একটি দুর্দান্ত মাল্টিপারপাস ক্লিনার। গৃহস্থালি পরিচ্ছন্নতায় নানাভাবে এটি ব্যবহার করা যায়। রূপচর্চাতেও বেকিং সোডার রয়েছে কার্যকরী অনেক ব্যবহার। তবে কিছু উদাহরণ রয়েছে যেখানে বেকিং সোডা উপকারের চেয়ে ক্ষতি বেশি করে। কিছু জিনিস পরিষ্কার করতে বেকিং সোডা ব্যবহার না করলেই ভালো করবেন। জেনে নিন সেগুলো কী কী।
- কাচের জিনিসপত্র বেকিং সোডা দিয়ে পরিষ্কার করবেন না। কারণ এটি স্ক্র্যাচ ফেলে দিতে পারে এগুলোতে। বেকিং সোডার বদলে ভিনেগার দিয়ে পরিষ্কার করুন আয়না বা কাচের তৈজস।
- অ্যালুমিনিয়ামের পাত্র এবং প্যান পরিষ্কার করার জন্য বেকিং সোডা ব্যবহার না করাই ভালো। কারণ সেগুলো ঠিকঠাক না ধুলে বেকিং সোডা অ্যালুমিনিয়ামকে অক্সিডাইজ করতে পারে। অক্সিডাইজেশন ফলে বাদামী ছোপ পড়ে যেতে পারে এ ধরনের পাত্রে।
- সিরামিক গ্লাস দিয়ে তৈরি চুলা পরিষ্কারের জন্য বেকিং সোডা ব্যবহার করবেন না। কারণ এ ধরনের মসৃণ পৃষ্ঠে সহজেই স্ক্র্যাচ ফেলে দিতে পারে উপাদানটি।
- মার্বেলের তৈরি কোনও কিছু বেকিং সোডা ব্যবহার করে পরিষ্কার করবেন না। এতে উপরের অংশের লেয়ার নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
- কাঠের আসবাবের উপর সরাসরি বেকিং সোডা লাগাবেন না। প্রয়োজনে লিকুইড সাবানের সঙ্গে সামান্য পরিমাণে মিশিয়ে তারপর পরিষ্কার করুন কাঠের আসবাব।
- গভীর খাঁজ বা ফাটল আছে এমন কিছু পরিষ্কার করার জন্য বেকিং সোডা ব্যবহার করবেন না। কারণ বেকিং সোডা শুকিয়ে যাওয়ার পরে এসব খাঁজ বা ফাটল থেকে বের করা মুশকিল হতে পারে।
- ত্বকের যত্নে বেকিং সোডা বহুল ব্যবহৃত হলেও সংবেদনশীল ত্বকে একেবারেই ব্যবহার করবেন না এটি।
- গোল্ড প্লেটেড থালাবাসন বেকিং সোডা দিয়ে কখনও পরিষ্কার করবেন না। স্ক্র্যাচ পড়ে যেতে পারে।