বর্ষার মৌসুমে খুসখুসে কাশি, গলা ব্যথা এই দুই উপসর্গ বেশিরভাগ মানুষের মধ্যেই দেখা যায়। বিশেষ করে যাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তুলনায় কম তাদের ক্ষেত্রে এইসব লক্ষণ দেখা যায় বেশি। তবে চিন্তার কোনও কারণ নেই। এ সময় আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণেই এই সমস্যাগুলো লক্ষ্য করা যায়। ঘরোয়া টোটকার সাহায্যে গলা ব্যথা, কাশি কমে যায়। কিন্তু সমস্যা বেশি বুঝলে অবহেলা না করে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। বর্ষার এ সময়টাতে হাঁচি-কাশি, গলা ব্যথার সমস্যা দূর করতে জেনে নিতে পারেন কিছু ঘরোয়া টোটকা।
জেনে নিন—
গলা ব্যথার সমস্যা থাকলে একটি বিশেষ পানীয় তৈরি করুন তুলসী পাতা, আদার রস এবং গোলমরিচের গুঁড়ো দিয়ে। গরম পানিতে এই উপকরণগুলো দিয়ে ভালোভাবে ফুটিয়ে নিন। পান করার আগে কিছুটা ঠান্ডা করে মিশিয়ে নিন অল্প মধু। তাহলে সেভাবে গোলমরিচার ঝাঁঝালো স্বাদ পাবেন না। আর যাদের গোলমরিচের ঝাঁঝে অসুবিধা নেই তারা মধু ছাড়াও খেতে পারেন। এই পানীয়ের মধ্যে দু-চারটি লবঙ্গও দিতে পারেন। গলা ব্যথার সঙ্গে সঙ্গে কাশিও কমে যাবে আপনার।
দিনে অন্তত তিন থেকে চারবার গরম পানিতে লবণ দিয়ে গার্গল করুন। সামান্য লবণ ব্যবহার করতে হবে এক্ষেত্রে। এই পানীয় দিয়ে গার্গল করলে গলায় জমে থাকা মিউকাস দূর হবে। তার ফলে গলার সংক্রমণ, ব্যথা কমে যাবে। গলার ইনফেকশন দূর করতে গরম পানিতে লবণ দিয়ে গার্গল করা খুবই জরুরি।
বর্ষাকালে মূলত আবহাওয়ার পরিবর্তন এবং তাপমাত্রার হেরফেরের কারণেই গলা ব্যথা, খুসখুসে কাশির সমস্যা দেখা যায়। বিশেষ করে রাতের দিকে কাশির সমস্যা বাড়তে থাকে। এইসব সমস্যা দূর করার জন্য গরম দুধের মধ্যে হলুদ মিশিয়ে খেতে পারেন আপনি। হলুদের মধ্যে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপকরণ রয়েছে যা ইনফেকশন বা সংক্রমণ কমাতে সাহায্য করে।
বর্ষায় গলা ব্যথা কিংবা কাশির সমস্যা কমাতে অব্যর্থ ওষুধের মতো কাজ করে মধু। আপনি গরম দুধে মধু মিশিয়ে খেতে পারেন। কিংবা শুধু শুধুই খেতে পারেন মধু। কাশির সমস্যা অল্প দিনের মধ্যেই কমে যাবে।
আদার রস মেশানো চা খেলে গলা ব্যথার সমস্যা কমে। হাঁচি-কাশির সমস্যাও কমে। যদি সর্দি বা কফ জমে থাকে তা দূর হয়। আদা চা শুধু বর্ষায় নয় সারাবছরই খেতে পারেন আপনি। এর উপকার অনেক। আদার রস খাবার হজম করাতেও সাহায্য করে।