পুষ্টিবিদরা বলছেন, ফল ও সবজির পাশাপাশি এগুলোর খোসাও পুষ্টিগুণে পরিপূর্ণ। তাই এগুলো ফেলে পুষ্টির অপচয় না করে নানা উপায়ে কাজে লাগাতে পারনে রান্নাতেই। আবার রূপচর্চা বা গৃহস্থালি মুশকিল আসান করতেও ফল ও সবজির বিভিন্ন খোসা কাজে লাগানো যায়। জেনে নিন টিপস।
- কমলার খোসা ফেলে না দিয়ে কুচিয়ে রাখুন। শরবত বা স্মুদি ধরনের পানীয় বানিয়ে মিশিয়ে দিয়ে পারেন এই কুচি। স্বাদের পাশাপাশি বাড়বে পুষ্টিগুণ।
- পেঁয়াজের খোসা শুকিয়ে গুঁড়া করে ব্যবহার করতে পারেন স্যুপে।
- ফলের খোসা বানানো যায় ডিটক্স চা। কমলা, বেদানার মতো ফলের খোসা দিয়ে ডিটক্স চা বানিয়ে নিন। এতে ওজন ঝরবে এবং রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়বে।
- অনেকদিন ধরে রূপার গয়না অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে থাকলে তা ঔজ্জ্বল্য হারিয়ে ফেলে। কলার খোসা পেস্ট করে খানিকটা পানি মিশিয়ে পাতলা করে নিন। মিশ্রণটি দিয়ে গয়না পরিষ্কার করে নিন। আগের মতো চকচকে হয়ে যাবে।
- কমলা বা লেবুর খোসা চূর্ণ করে ফেস প্যাকে মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। ত্বক হবে উজ্জ্বল ও কোমল।
- কলার খোসার ভেতরের অংশ দাঁতে ঘষলে দাঁতের হলদে ভাব দূর হয়। এই খোসায় ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ এবং পটাশিয়াম থাকে। এসব উপাদান গাছের সার হিসেবে চমৎকার কাজ করে। কলার খোসা কুচি করে তাই মিশিয়ে দিতে পারেন টবের মাটিতে।
- চোখের নিচে থাকা কালি বা ফোলাভাব দূর করতে কার্যকর এনজাইম ও ভিটামিন সি সমৃদ্ধ কলার খোসা। আলুর খোসা কিছুক্ষণ ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করে তারপর চোখের উপর রেখে দিন ১০ মিনিট। এরপর ধুয়ে ফেলুন ত্বক।
- ঘরের পোকামাকড় দূর করতে লেবুর খোসা কুচি করে অথবা শুকিয়ে গুঁড়া করে ছিটিয়ে দিন ঘরের কোণে।