মিষ্টি কুমড়া খুব উপকারী সবজি। স্বাস্থ্য সুরক্ষায় কুমড়া খেলেও, অনেকে এর বীজ ফেলে দেন। কেননা তারা জানেন না, কুমড়ার বীজ উদ্ভিজ্জ প্রোটিনের ভালো উৎস। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ম্যাগনেসিয়াম, জিঙ্ক, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস কপার, ভিটামিন ই, আয়রন ও ফাইবার। এ কারণে প্রতিদিন কুমড়ার বীজ খেলে ছোট-বড় অনেক অসুখ থেকে বেঁচে থাকা যায়।
অনিদ্রার সমস্যা দূর
ঘুমের চক্র নিয়ন্ত্রণ করে ‘সেরোটোনিন’ এবং ‘মেলাটোনিন’ নামের দুটি হরমোন। এই হরমোনগুলোর হেরফের হলেই ঘুমের স্বাভাবিক চক্র নষ্ট হয়। কুমড়ার বীজে রয়েছে ‘ট্রিপটোফ্যান’ নামক একটি উপাদান, যা এক প্রকার অ্যামাইনো অ্যাসিড। এই উপাদানটি আবার ‘সেরোটোনিন’ এবং ‘মেলাটোনিন’ হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।
ত্বকের জন্য ভালো
কুমড়ার বীজ অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টসমৃদ্ধ। অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট শরীরে ফ্রি র্যা ডিক্যালের সমতাও বজায় রাখে। ফলে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস বাড়তে পারে না। ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখার জন্য এটি খুব গুরুত্বপূর্ণ। ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতেও সাহায্য করে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। চামড়া ঝুলে যাওয়া কিংবা বলিরেখা পড়ার সমস্যাও রুখে দেয়।
হার্ট ভালো রাখতে ম্যাগনেশিয়ামের ভূমিকা রয়েছে। ম্যাগনেশিয়ামের ভালো উৎস হলো কুমড়ার বীজ। রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখতে, রক্তের খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে ম্যাগনেশিয়াম। এছাড়া প্রদাহজনিত সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতেও ম্যাগনেশিয়াম ভূমিকা রাখে।
প্রস্টেট সংক্রান্ত সমস্যা প্রতিরোধ
বয়সের সঙ্গে সঙ্গে পুরুষদের প্রস্টেট গ্রন্থিটি আকারে বাড়তে থাকে। এই ধরনের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে জিঙ্কের ভূমিকা রয়েছে। কুমড়ার বীজে প্রচুর পরিমাণে জিঙ্ক রয়েছে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত এই বীজ খেলে পুরুষ হরমোনের সমতা বজায় থাকে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতেও সাহায্য করে এই বীজ।
হজমে সহায়ক
কুমড়ার বীজে ফাইবারের পরিমাণ বেশি থাকে। এই উপাদানটি অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। এই বীজ খেলে হজম সংক্রান্ত সমস্যা দূর হয়। শুধু তাই নয়, রক্তে শর্করার মাত্রা স্বাভাবিক রাখতেও সাহায্য করে কুমড়ার বীজ।