সারাদিনে কাজের পর শরীরে ক্লান্তি আসে। আর এই ক্লান্তি দূর করার জন্য একটু ঘুমের প্রয়োজন। তবে দুপুরের এ ঘুম নিয়ে রয়েছে নানা বিতর্ক। কেউ বলে দুপুরে ঘুমানো শরীরের জন্য খারাপ, আবার কেউ কেউ বলে দুপুরের ঘুম শরীরের জন্য ভালো।
তবে বিশেজ্ঞরা বলছেন, দুপুরে কিছক্ষণের ঘুমে রক্তচাপ বা ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে থাকে। রাতের ঘুম থেকেও দুপুরের ঘুম অনেক শান্তির হয়। কারণ দুপুরের ঘুম থেকে ওঠার কোনো তাড়া থাকে না। তাই হাতে একটু সময় থাকলে একটু ঘুমিয়েও নিতে পারেন।
দুপুরের ঘুমের উপকারী দিকগুলো দেখে নেওয়া যাক-
১. শরীরের শক্তি পুনরুদ্ধার: দুপুরের ঘুম শরীরের ক্লান্তি দূর করে এবং শক্তি পুনরুদ্ধার করতে সাহায্য করে।
২. মুড ভালো করা: দুপুরের ঘুম মানসিক চাপ কমাতে এবং মুড ভালো রাখতে সাহায্য করতে পারে।
৩. স্মৃতিশক্তি ও মনোযোগ বৃদ্ধি: বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দুপুরের ঘুম মনোযোগ বৃদ্ধি ও স্মৃতিশক্তি উন্নত করতে পারে।
৪. কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি: এটি কর্মক্ষমতা ও সৃজনশীলতা বাড়াতেও সহায়ক।
সমস্যাও হতে পারে-
১. রাতে ঘুমের সমস্যা: দুপুরে বেশি সময় ধরে ঘুমালে রাতে ঘুমানোর সময় সমস্যা হতে পারে।
২. ঘুমের সময় ও পরিমাণ: দুপুরের ঘুম ১৫-৩০ মিনিটের বেশি হলে তা শরীরকে অলস করে দিতে পারে এবং “স্লিপ ইনর্শিয়া” হতে পারে, যা ঘুম থেকে ওঠার পর কিছু সময়ের জন্য ঝিমুনি অনুভব করা।
পরামর্শ-
১. ১০-২০ মিনিটের ‘পাওয়ার ন্যাপ’ হলো সবচেয়ে উপকারী।
২. দুপুর ২-৩টার মধ্যে ঘুমানো ভালো, কারণ এটি শরীরের প্রাকৃতিক সারকাডিয়ান রিদমের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
সুতরাং, দুপুরের ঘুম উপকারী হতে পারে যদি এটি সঠিক সময় ও পরিমাণে নেওয়া হয়।