যারা শরীর-স্বাস্থ্য নিয়ে একটু সচেতন তাদের মাথায় প্রতিনিয়ত কোনো না কোনো খাবার নিয়ে পুষ্টিচিন্তা ঘুরপাক খায়। কোনটা শরীরের জন্য ভাল আর কোনটাই বা বেশি উপকারী! তুলনা চলে হরেক রকমের খাবারের মধ্যে। মাছ নাকি মাংশ! ভাত নাকি রুটি! আর ওজন বাড়া নিয়েতো দুশ্চিন্তা অশেষ। উপায় খোঁজেন কোন খাবারে ওজন নিয়ন্ত্রণ করা যায়। ভাবেন ডিম নাকি পনির? কোনটায় বা ওজন কমে!
ডিম প্রোটিনের দিক থেকে ডিমের থেকে বেশি প্রোটিন থাকে পনিরে। তবে, ডিমে ফ্যাটের পরিমাণও পনিরের থেকে কম, তাই ওজন কমাতে ডিমের জুড়ি মেলা ভার।
একটি ৪৪ গ্রামের সিদ্ধ ডিমে ৫.৫ গ্রাম প্রোটিন থাকে। সে তুলনায় ফ্যাট থাকে অনেকটাই কম। ৪.২ গ্রাম থাকে ফ্যাটের পরিমাণ। ক্যালসিয়াম থাকে ২৪.৬ মিলিগ্রাম।
০.৮ মিলিগ্রাম থাকে আয়রনের পরিমাণ। এবং ৫.৩ মিলিগ্রাম থাকে ম্যাগনেসিয়াম।
পনির, ডিমের মতোই একাধিক রেসিপি রয়েছে পনির বা কটেজ চিজে। এতে প্রোটিনের পরিমাণও থাকে বেশি। ৪০ গ্রাম লো ফ্যাট পনিরে প্রোটিন থাকে ৭.৫৪ গ্রাম। যা ডিমের থেকেও বেশি। ফ্যাট থাকে ৫.৮৮ গ্রাম। কার্বোহাইট্রেড থাকে ৪.৯৬ গ্রাম। ফোলেটস থাকে ৩৭.৩২ মাইক্রোগ্রাম। ক্যালসিয়াম থাকে ১৯০.৪ মাইক্রোগ্রাম।
ডিম ও পনির, তা হলে কোনটায় প্রোটিন বেশি থাকে?
এখন প্রশ্ন ওঠে তবে কোনটা ওজন কমাতে সাহায্য করবে?
ডিম ও পনিরে প্রায় সমগোত্রীয় জিনিসই থাকে। প্রোটিনের দিক থেকে পনিরে বেশি প্রোটিন থাকে। কিন্তু ফ্যাটও বেশি থাকে। এ দিকে ডিমে প্রোটিন কম থাকে, ফ্যাটও কম থাকে। তবে, দুইয়েরই প্রোটিন ছাড়াও একাধিক গুণ থাকে। যা শরীরের অন্যান্য দিক ঠিক রাখতে সাহায্য করে। যাঁরা ডিম ও পনির দুই পছন্দ করেন, তাঁরা ওজন কমাতে হলে ডায়েটে রাখতে পারে ডিম।
আর যদি ভিটামিন বাড়ানো, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো বা শরীর ফিট রাখতে ডায়েট কন্ট্রোল করা হয়, তা হলে পনিরও ডায়েটে রাখা যেতে পারে। আবার এই দু’টোই রাখা যেতে পারে । তবে শারীরিক অন্য কোন অসুবিধা হলে বা ডায়েটের চার্ট করতে চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞ’র পরামর্শ নেয়াই উত্তম।