টক ও মিষ্টি স্বাদের জন্য তেঁতুলকে পুষ্টির ভাণ্ডারও বলা হয়। এতে রয়েছে ভিটামিন এ, সি, ই, কে, বি৬, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, ক্যালসিয়াম ও প্রোটিনের মতো অনেক প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান।
এই পুষ্টি উপাদানগুলো শরীরকে সুস্থ রাখতে বড় ভূমিকা পালন করে। যেমন- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করা, হজমশক্তির উন্নতি এবং ত্বককে সুস্থ রাখা।
তেঁতুল অনেক ধরনের খাবারের স্বাদ বাড়াতে ব্যবহার করা হয়, কিন্তু তা সত্ত্বেও অনেকেই এর উপকারিতা সম্পর্কে জানেন না।
তেঁতুল খাওয়ার উপকারিতা
পরিপাকতন্ত্র সুস্থ রাখে: তেঁতুলে থাকা টারটারিক এসিড হজমশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। এটি খাবারকে সহজে হজম করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য, এসিডিটির মতো সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়। এ ছাড়া তেঁতুলে উপস্থিত ফাইবার পরিপাকতন্ত্রকে সুস্থ রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী: তেঁতুলে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম রয়েছে, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এ ছাড়া এতে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। তেঁতুলে থাকা ফ্ল্যাভোনয়েড খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে, যার ফলে হার্ট থাকে সুস্থ ও সবল।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে: তেঁতুলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে।এটি শরীরকে সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে এবং রোগ থেকেও রক্ষা করে।
ওজন কমাতে সহায়ক: তেঁতুলে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে, যা দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখে এবং খিদে কমায়। এ ছাড়া তেঁতুলে ক্যালরি কম থাকে, যা ওজন কমাতে সাহায্য করে।
তেঁতুল এমন একটি ফল, যা শুধু সুস্বাদু নয়, স্বাস্থ্যের জন্যও খুবই উপকারী। আপনার খাদ্যতালিকায় এটি অন্তর্ভুক্ত করে, অনেক স্বাস্থ্য সুবিধা পেতে পারেন।
সতর্কতা
বেশি পরিমাণে তেঁতুল খেলে দাঁতের এনামেল নষ্ট হয়ে যায়। আপনার যদি এসিডিটির সমস্যা থাকে, তবে সীমিত পরিমাণে তেঁতুল খান। এ ছাড়া গর্ভবতী নারীদের চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করার পরই তেঁতুল খাওয়া উচিত।