চুল পড়ার সমস্যা কম বেশি সবার আছে। কারো কারো এত বেশি চুল পড়ে যে, মাথায় টাক পড়ে যায়। বাজারের বিভিন্ন প্রসাধনী ব্যবহারেও কোনও সুরাহা পাওয়া যায় না। যদি চুল অতিরিক্ত পড়তে থাকে, তাহলে দ্রুতই ব্যবস্থা নিতে হবে। নয়তো মাথার সব চুল অকালেই ঝরে যাবে।
কেন চুল পড়ে?
হরমোনের তারতম্য, অনিয়মিত লাইফস্টাইল, পরিবেশগত কারণে অঝোরে চুল পড়ে। অপুষ্টির কারণেও চুল পড়ে। যাদের প্রচুর চুল পড়ে এবং চুল পড়তে পড়তে মাথার বিভিন্ন অংশ ফাঁকা হয়ে যায়, তাদের সবার আগে ডায়েটে নজর দিতে হবে। এমন কিছু খাবার খেতে হবে যেগুলো চুল ও মাথার স্ক্যাল্পের জন্য ভালো। বিভিন্ন ধরনের বাদাম, ডিম ও পুষ্টিকর খাবারের পাশাপাশি খেতে হবে ফল ও সবজির জুস। গবেষকরা বলছেন, সবজির জুস খেলে চুল পড়া এক সপ্তাহেই নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।
যেভাবে জুস বানাবেন
জুস বানানোর জন্য লাগবে বিট, আপেল, আমলকী ও গাজর। আরও লাগবে পুদিনা পাতা, লেবু, মধু ও আদা।
প্রথমে ১ টি বিট, ২ টি গাজর, ১ টি আপেল ও ১ টি আমলকী টুকরো টুকরো করে কেটে নিন। এরপর তাতে কয়েকটি পুদিনা পাতা, আদা কুচি দিয়ে দিন। এসব উপকরণ মিক্সার কিংবা ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন। এতে অর্ধেক লেবুর রস ও এক চামচ মধু দিয়ে দিন। এই মিশ্রণে এক চিমটি পিঙ্ক সল্ট দিয়ে নেড়ে খেয়ে নিন।
খাওয়ার নিয়ম
এই জুস সপ্তাহে ৫-৬ দিন অবশ্যই খাবেন। টানা তিন মাস খেতে হবে। এই তিন মাসে পার্থক্য চোখে পড়বে। এক মাসের মধ্যেই চুল পড়া বন্ধ হবে। নতুন চুলও গজাবে।
যে কারণে এ জুস উপকারী
গাজর ভিটামিন ও খনিজ উপাদানে ভরপুর। এতে ভিটামিন এ, ই ও ফসফরাস আছে। এসব উপাদান চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। ভিটামিন এ, ই স্ক্যাল্পে রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়। ফলে চুলের গোড়ায় গোড়ায় পুষ্টি অক্সিজেন পৌঁছে যায়। আর এ কারণেই চুল পড়া বন্ধ হয়। টাকে গজায় নতুন চুল। গাজরের মতো ভিটামিন ও খনিজ আছে বিটরুটেও। আপলে প্রাকৃতিক ডিটক্সিফায়ারের কাজ করে। স্ক্যাল্প থেকে টক্সিন দূর করে এই ফল। তাই জুসে আপেল থাকলে চুল পড়া বন্ধ হবে এবং টাকে নতুন চুলও গজাবে।