শুষ্ক আবহাওয়ায় খুশকি একটি বড় সমস্যা। অল্পবিস্তর খুশকি হওয়া খুবই স্বাভাবিক, তবে চর্মরোগের ফলে সেটা বাড়তে পারে বহুগুণ।
বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ‘সেবোরিক ডার্মাইটিস’ বা ’সুরাইয়োসিস’-এর কারণে অতিরিক্ত খুশকি হয়ে থাকে। এ ছাড়াও হতে পারে ছত্রাক অথবা ’স্কিন মাইটস’-এর সংক্রমণ।
যা করণীয়
♦ নিয়মিত গোসল ও চুল পরিষ্কার। প্রচলিত শ্যাম্পু নিয়মমাফিক ব্যবহারেই শীতকালীন খুশকির প্রকোপ কমে যায়।
♦ পাইরিথিওন জিংকসমৃদ্ধ শ্যাম্পু, যেমন ‘হেড অ্যান্ড শোলডারস’ বা ’ডার্মাজিংক’ ব্যবহারে ছত্রাক ও ব্যাকটেরিয়া দমন করে মাঝারি মাত্রার খুশকি দমন করা যাবে।
♦ ’টার’-সমৃদ্ধ শ্যাম্পু, যেমন ‘নিউট্রোজিনা টি’ বা ’এক্সটার’ ব্যবহারে যাদের সুরাইয়োসিস আছে, তাদের খুশকি দ্রুত কমে যাবে। টার ব্যবহারে সুরাইয়োসিস বা সেবোরিক ডার্মাইটিসজনিত অতিরিক্ত মরা চামড়া উৎপাদন কমে যায়। তবে টার থাকায় চুলে কালচে ছোপ পড়তে পারে।
♦ স্যালিসাইক্লিক এসিডসমৃদ্ধ শ্যাম্পু সাধারণত ফার্মেসিতে পাওয়া যায়। মাথায় যাদের খুশকি জমাট বেঁধে শক্ত হয়ে যাওয়ার প্রবণতা আছে, তাদের জন্য খুবই কার্যকর।
♦ ‘সেলসুন’, ’হেড অ্যান্ড শোলডারস ইনটেনসিভ’, বা ’সেলসুন ব্লু’ সিরিজের শ্যাম্পুতে আছে সেলেনিয়াম সালফাইড। ছত্রাক সংক্রমণে অত্যন্ত কার্যকর এই শ্যাম্পুগুলো ব্যবহারে সতর্ক থাকতে হবে। অনেক দিন একটানা ব্যবহার করা যাবে না, আর ব্যবহারের পর চুল ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে।
♦ ছত্রাক দমনে আরেকটি জনপ্রিয় ওষুধ ’কেটোকোনাজল’, ‘সিলেক্ট প্লাস’ বা ‘নিজোরাল’ শ্যাম্পুতে দেওয়া থাকে। সেলেনিয়াম শ্যাম্পুতে কাজ না হলে ব্যবহার করে দেখা যেতে পারে।
♦ স্টেরয়েড শ্যাম্পু, যেমন ‘ফ্লুয়োসিনোলোন’ সমৃদ্ধ ’ক্যাপেক্স’ বা ’ডার্মা-স্মুথ’, সুরাইয়োসিসজনিত খুশকিতে খুবই কার্যকর। যাদের খুশকির পাশাপাশি অতিরিক্ত চুলকানো এবং মাথার তালু জ্বলার সমস্যা আছে তাদের জন্য কার্যকর।
পরামর্শ দিয়েছেন,
ডা. তাসনিম হোসেন তামিমা
কনসালট্যান্ট, মেডিসিন
পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার, মিরপুর