গর্ভাবস্থায় অনেক নারীর শরীরেই আয়োডিনের অভাব দেখা দেয়। আয়োডিনের ঘাটতি হলে গর্ভের শিশু বিভিন্ন সমস্যায় পড়তে পারে।
আয়োডিন শিশুর বিকাশের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ। শিশুর স্বাস্থ্যকর বৃদ্ধি এবং বিকাশ নিশ্চিত করতে, গর্ভবতী নারীকে অবশ্যই আয়োডিন গ্রহণ করতে হবে।
>> দেহে আয়োডিনের ঘাটতির অন্যতম সাধারণ পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া হলো ক্রিটিনিজম। এক্ষেত্রে শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশ কমে যেতে থাকে। এতে শিশুর পরবর্তীতে মানসিক রোগ হতে পারে।
>> আয়োডিনের ঘাটতি গর্ভের শিশুর বৃদ্ধি কমে যায়। শিশুর মানসিক বৃদ্ধি ও শারীরিক বিকাশকেও বাঁধা দেয়। গর্ভবতী মায়ের শরীরে আয়োডিনের অভঅব থাকলে তা শিশুর উপর আজীবন প্রভাব ফেলে।
>> বিরল হলেও গয়েটার (গলায় ফোলাভাব) নবজাত শিশুদের মধ্যেও থাকতে পারে। এটি অত্যন্ত বিপজ্জনক এবং শিশুদের স্বাভাবিক ক্রিয়াকলাপকে প্রভাবিত করতে পারে।
>> আয়োডিনের ঘাটতি হলে গর্ভপাত ঘটতে পারে। গর্ভপাত কেবল হৃদয় বিদারক নয়; বিপজ্জনকও বটে। পরবর্তী গর্ভধারণের ক্ষেত্রে বিরাট প্রভাব ফেলে গর্ভপাত।
আয়োডিনের অভাবে যেসব উপসর্গ দেখা দেয়-
>> ভঙ্গুর নখ, চুল পাতলা এবং অমসৃণ হয়ে যাওয়া।
>> চোখে ফোলাভাব, শুষ্ক এবং বিবর্ণ ত্বক।
>> কলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি, পেশীতে ব্যথা, ধীরগতিতে কথা বলা এবং শ্রবণশক্তি চলে যাওয়া।
>> থাইরয়েড, স্তন, প্রস্টেট এবং অন্যান্য প্রজননতন্ত্র সম্পর্কিত সমস্যা।
>> স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়া
>> গয়েটর- থাইরয়েড গ্রন্থির বৃদ্ধির কারণে গলায় ফোলাভাব, শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যা, গিলতে সমস্যা
>> হাইপোথাইরোডিজম- ওজন বৃদ্ধি, অবসাদ, শুষ্ক ত্বক ও বিষন্নতা
>> গর্ভাবস্থা সম্পর্কিত সমস্যা-গর্ভস্রাব, মৃত সন্তান প্রসব, অকালে জন্মদান এবং শিশুদের মধ্যে জন্মগত ত্রুটি।
আয়োডিন সমৃদ্ধ কিছু খাবার
গর্ভাবস্থায় আয়োডিনের ঘাটতি পূরণে আয়োডিন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া প্রয়োজন। আয়োডিন সমৃদ্ধ বিভিন্ন খাবারের মধ্যে রয়েছে, ডিম, চিংড়ি, দুধ, টুনা মাছ, দই, কলা, স্ট্রবেরি, সবুজ শাকসবজি, মিষ্টি আলু, বাদাম ইত্যাদি।