যে কারোরই মাথায় খুশকি হতে পারে, আর এ জন্য বিব্রত হওয়ার কিছু নেই। মাথার ত্বকের কারণে খুশকি হয়। মাথার ত্বক শুষ্ক হলে খুশকি হতে পারে। আবার বিভিন্ন প্রসাধনের কারণেও হতে পারে।
ভারতের বিখ্যাত ফ্যাশনবিষয়ক সাময়িকী ফেমিনার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আপনি যদি নিশ্চিত হন খুশকি আছে এবং সেটা শুষ্ক স্ক্যাল্পের কারণে নয়, তাহলে নিম্নোক্ত কারণে আপনার খুশকি হতে পারে—
অনিয়মিত চুল ধোয়া
যা প্রয়োজন, তার চেয়ে চুল কম ধুলে খুশকি হতে পারে। যদি আপনার স্ক্যাল্প তৈলাক্ত হয়, তবে সপ্তাহে অন্তত আপনাকে দুবার চুল ধুতে হবে। প্রয়োজনে তিনবার ধুতে হবে। যদি আপনি নিয়মিত মাথার ত্বক ও চুল না ধুয়ে থাকেন, তবে তৈলাক্ততা বাড়বে এবং ত্বকের কোষ দ্রুত মরবে। মাথার ত্বকে অতিমাত্রায় তৈলাক্ততা থেকে খুশকি হতে পারে।
আর্দ্রতা
আপনি যদি আর্দ্র স্থানে থাকে, তাহলে আপনার খুশকি হতে পারে। আর্দ্র ও উষ্ণ বাতাসে আপনি ঘেমে ওঠেন, বিশেষ করে মাথার ত্বক ঘামে। অতিরিক্ত ঘামা মানে ত্বক অতিরিক্ত তৈলাক্ত হওয়া। আর এর কারণে খুশকি হয়। সে জন্য বর্ষায় মানুষ অতিরিক্ত খুশকিতে ভোগে। কারণ, এ সময় আবহাওয়ায় উচ্চমাত্রায় আর্দ্রতা থাকে।
ব্যায়াম
দীর্ঘক্ষণ ব্যায়াম করলে আপনি নিশ্চিত ঘামবেন। মাথার ঘর্মাক্ত ত্বকের ফলে খুশকি উৎপত্তি হয়। তাই দীর্ঘ শারীরিক ট্রেনিং সেশনের পর অবশ্যই চুল ধুতে হবে।
চুলে প্রসাধন ব্যবহার
আপনি যদি চুলে স্টাইলিশ প্রসাধন ব্যবহারে অভ্যস্ত হয়ে পড়েন, তাহলে চুলে রুক্ষতা দেখা দিতে পারে। ফলে মাথার ত্বকে চুলকানি ও খুশকি হতে পারে। কিছু স্টাইলিশ প্রোডাক্টে অতিমাত্রায় অ্যালকোহল থাকে, যা স্ক্যাল্পকে শুষ্ক করে দেয়। আর সে কারণে খুশকি হতে পারে। তাই স্টাইলিশ প্রোডাক্ট ব্যবহার না করাই ভালো। আপনাকে নিয়মিত চুল ধুতে হবে এবং মাথার ত্বক পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।