জিংক একটি গুরুত্বপূর্ণ খনিজ যা আমাদের কোষগুলোকে ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে এবং ডিএনএ নামক জেনেটিক উপাদান তৈরি করতে সাহায্য করে। খনিজটি ক্ষত নিরাময়ে সাহায্য করে, ঘ্রাণ ও স্বাদের অনুভূতিতে সহায়তা করে এবং শিশুর বিকাশে অপরিহার্য ভূমিকা পালন করে।
প্রতিদিন কী পরিমাণ জিংক প্রয়োজন?
একজন প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষের প্রতিদিন ১১ মিলিগ্রাম এবং একজন প্রাপ্তবয়স্ক নারী ৮ মিলিগ্রাম জিংক প্রয়োজন। গর্ভবতী ব বুকের দুধ খাওয়ান এমন মায়ের প্রয়োজন ১২ মিলিগ্রাম। শিশুদের বয়স এবং লিঙ্গের উপর নির্ভর করে ২ থেকে ১১ মিলিগ্রাম পর্যন্ত জিংক প্রয়োজন প্রতিদিন। আপনার শিশুর জন্য কতটা সঠিক সে সম্পর্কে আপনার শিশু বিশেষজ্ঞের সাথে কথা বলুন।
জিংকের ঘাটতি হলে কী হয়?
- শিশুদের সঠিক বিকাশ ব্যাহত হতে পারে এবং কিশোর বয়সে বয়ঃসন্ধি বিলম্বিত করতে পারে।
- চুল পড়তে পারে অতিরিক্ত পরিমাণে।
- ডায়রিয়া হতে পারে জিংক কমে যাওয়ার লক্ষণ।
- ঘা বা খত নিরাময়ে বিলম্ব হতে পারে।
- ক্ষুধা কমে যাওয়ার জিংকের ঘাটতির লক্ষণ।
- নখ ভঙ্গুর হয়ে যেতে পারে।
- স্বাদ ও ঘ্রাণের অনুভূতি কমে যেতে পারে।
কোন কোন খাবারে মিলবে জিংক?
- কাজুবাদাম জিংকের দারুণ উৎস। ১ আউন্স কাজুতে ১.৬ মিলিগ্রাম জিংক থাকে।
- চিংড়ি থেকে প্রচুর পরিমাণ জিংক পাওয়া যায়। এছাড়া ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড আছে এমন সব খাবারেও মেলে জিংক।
- আধা বাটি ওটমিল থেকে পাবেন ১.৩ মিলিগ্রাম জিংক। কোলেস্টেরলের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করার পাশাপাশি শরীরের জন্য উপকারী ব্যাকটেরিয়া বাড়াতে সাহায্য করে ওট।
- জিংকের ঘাটতি দূর করার জন্য মুরগির মাংস খেতে পারেন। ৮৫ গ্রাম মুরগির মাংস থেকে ২.৪ মিলিগ্রাম জিংক পাওয়া যায়।
- ডার্ক চকলেট থেকে জিংক মেলে। ১০০ গ্রাম ডার্ক চকলেটে রয়েছে ৩.৩ মিলিগ্রাম জিংক।