ভারতীয় পালমোনোলজিস্ট ডা. সুজন বর্ধন বলেন, ইনহেলার ব্যবহার নিরাপদ। যে ওষুধ ইনহেলারে যাচ্ছে, সেটার প্রভাব সরাসরি ফুসফুসে পড়ে। এর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই।
ইনহেলার এমন ড্রাগস, যদি এটা শুরু করেন চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া তা বন্ধ করা ঠিক নয়। কোনো বাচ্চা এটি যদি নেওয়ার অভ্যাস করে ফেলে, তার যখন ১৫-১৬ বছর হয় সেই সময় ইনহেলার যাতে আর ব্যবহার করতে না হয়, তা নিয়ে চিকিৎসা শুরু করা হয়।
অ্যালার্জিক হাঁপানিও হয় অনেকের। এই ধরুন এক শহর থেকে অন্য শহরে গেলেন, সেখানকার আবহাওয়া, পরিবেশ আপনার না সইলে তখন ইনহেলার নিতে হতে পারে। সেটা অবশ্য সাময়িক। এ ক্ষেত্রে স্থান পরিবর্তন হলে হাঁপানিও সেরে যায়।
ঋতু পরিবর্তনের সময় ফুলের রেণু বাতাসে ঘোরে, চারদিকে কুয়াশা হয়। আর তা বাতাসে মিশে সেই বাতাস যখন আমাদের মধ্যে প্রবেশ করছে, তখন অনেকের হাঁপানির সমস্যা হয়।
হাঁপানি জেনেটিক্যালিও হয়। মা, বাবা বা বাড়ির কারো থাকলে অনেকেই অ্যাজমায় আক্রান্ত হন। এই হাঁপানি সেরে যায় না। তবে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। অনেক স্পোর্টসপার্সন অ্যাজমাটিক। কিন্তু তাদের হাঁপানি নিয়ন্ত্রণে থাকে বলে তারা জীবনের অনেক ক্ষেত্রে সফল।