ভর্তা, ভাজি,তরকারি সবভাবেই আলু খাওয়া হয়। এক কথায়, আলু ছাড়া রান্নাঘরই যেন অচল। কিন্তু সমস্যা হল, আলু বেশিদিন ভালো থাকে না, পচে যায়। তাই কেনার সময়ই আলু বেছে নিতে হয়। এছাড়া কিছু কৌশল মেনে চললে আলু দীর্ঘদিন ভাল রাখা যাবে। যেমন-
শক্ত কি না দেখে নিতে হবে: আলু কেনার সময় কিছু সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। টিপে দেখে নিতে হবে শক্ত আছে কি না। যে আলু নরম হয়ে এসেছে সেগুলোর দ্রুত পচে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। তাই কেনার সময় নরম আলু এড়িয়ে যেতে হবে।
অঙ্কুরিত আলু নয়: অঙ্কুরিত আলু কেনা ঠিক নয়। ন্যাশনাল ক্যাপিটাল পয়জন সেন্টার (আমেরিকান অ্যাসোসিয়েশন অফ পয়জন কন্ট্রোল সেন্টার দ্বারা স্বীকৃত একটি সংস্থা) অনুসারে, অঙ্কুরিত আলু ফেলে দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। গবেষণা অনুসারে, আলু যখন অঙ্কুরিত হয়, তখন এটির গ্লাইকোঅ্যালকালয়েড উপাদান বাড়তে শুরু করে এবং এই যৌগটির অত্যধিক ব্যবহার মানবদেহের জন্য ভাল নয়।
সবুজদাগ যুক্ত আলু এড়িয়ে যেতে হবে: সবুজ দাগ হয়ে গিয়েছে এমন আলুও না কেনার পরামর্শ দেওয়া হয়। এগুলোর পচে যাওয়ার সম্ভাবনা তো আছেই, শরীরের জন্যও ভাল নয়। ন্যাশনাল ক্যাপিটাল পয়জন সেন্টারও সবুজ দাগযুক্ত আলু না খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে।
প্যাকেটজাত আলু স্বাস্থ্যকর নয়: যদি আলু প্লাস্টিকের প্যাকেটে রাখা হয় তাহলে তা কেনা থেকে বিরত থাকাই বুদ্ধিমানের কাজ। কারণ এতে আর্দ্রতা জমে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। শুধু তাই নয়, এই ধরনের আলু সহজেই খারাপ হয়ে যেতে পারে।
সংরক্ষণ করার আগে ধোয়া চলবে না: বাজার থেকে আলু কিনে আনার পর সবার আগে সেটা ধুয়ে তারপর ফ্রিজে তোলা হয়। এমন অভ্যাস অনেকেরই আছে। এটা ঠিক নয়। বিশেষজ্ঞরা বলেন, ধোয়ার ফলে আর্দ্রতার মাত্রা বেড়ে যায়। ফলে আলু তাড়াতাড়ি পচে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তবে রান্না করার আগে আলু ধুয়ে নিতে হবে।
খোলা ঝুড়িতে থাকুক: অনেকেই আলু ফ্রিজে রাখেন। এটা ঠিক নয়। বন্ধ ঝুড়ি বা পলি ব্যাগেও আলু না রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়। কারণ এতে আলু পচে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। একমাত্র খোলা ঝুড়িতে আলু সবচেয়ে ভাল থাকে। কারণ এতে আলু স্বাভাবিক বাতাস পায়।