আম খেতে পছন্দ করেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া মুশকিল। সবাই সাধারণত আমের খোসা ফেলে দিয়ে ভেতরের রসালো অংশ খান। তবে অনেকেরই হয়তো অজানা আমের খোসাতেও আছে নানা পুষ্টিগুণ। বেশ কয়েকটি গবেষণায় দেখা গেছে, আমের চেয়ে এর খোসায় বেশি পুষ্টি থাকে।
ইউনিভার্সিটি অব কুইন্সল্যান্ড স্কুল অব ফার্মেসির এক গবেষণায় দেখা গেছে, আমের খোসা ওজন কমাতে সাহায্য করে। কারণ তা ফ্যাট কোষের গঠন কমায়। কিছু গবেষণা ক্যানসার কোষ সারাতে এমনকি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণেও ভূমিকা রাখে। আমের খোসা যেভাবে শরীরের উপকার করে-
১. আমের খোসায় উদ্ভিদ যৌগ, ফাইবার ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে পূর্ণ। যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় ও বার্ধক্য কমাতে সাহায্য করে। তাছাড়া আমের চামড়ায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, সি, কে, ফোলেট, ম্যাগনেসিয়াম, কোলিন ও পটাশিয়াম আছে।
২. আমের খোসায় থাকা শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যেমন- ম্যাঙ্গিফেরিন, নোরাথাইরিওল ও রেসভেরাট্রল নির্দিষ্ট ধরনের ক্যানসার প্রতিরোধ করতে পারে।
৩. পুরুষদের উপর পরিচালিত হার্ভার্ড গবেষণা অনুসারে, যারা নিয়মিত আমের খোসা খেয়েছেন তাদের কার্ডিওভাসকুলার রোগের ঝুঁকি ৪০ শতাংশ কম। ফাইবারসমৃদ্ধ হওয়ায় আমের খোসা পাচনতন্ত্রের জন্যও ভালো।
৪. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে আমের খোসা। এটি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করে। তাই নিয়মিত আমের খোসা খেতে পারেন ডায়াবেটিস রোগীরা।
৫. ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্যও ভালো আমের খোসা। শুকনো আমের খোসার গুঁড়া ত্বকের যত্নে দারুন কার্যকরী। এই গুঁড়ার সঙ্গে দই মিশিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি করলে ত্বকের বিভিন্ন দাগছোপসহ সানট্যানও দূর হবে।
৬. এমনকি আমের খোসার গুঁড়া রোদের প্রভাব থেকে ত্বককে রক্ষা করে। এজন্য আমের খোসার গুঁড়ার সঙ্গে ত্বকে কয়েক ফোঁটা লোশন মিশিয়ে তা মুখ, বাহু, পাসহ শরীরের খোলা অংশে ব্যবহার করুন। আমের খোসার ভিটামিন ই ও সি অ্যান্টি-ট্যানিং হিসেবে কাজ করে।
আমের খোসা কীভাবে খাবেন?
আম ভালো করে ধুয়ে খোসাসহ খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন। গিলে ফেলতে না পারলে আমের খোসা চিবিয়ে এর রস পান করুন। এছাড়া খোসাসহ আম ব্লেন্ড করেও পান করতে পারেন। চাইলে আমের খোসা শুকিয়ে গুঁড়া করে পানিতে মিশিয়ে পান করতে পারেন।