English

25 C
Dhaka
শনিবার, নভেম্বর ২৩, ২০২৪
- Advertisement -

আজ বিশ্ব ডিম দিবস

- Advertisements -

আজ শুক্রবার (৮ অক্টোবর) বিশ্ব ডিম দিবস। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও দিবসটি পালিত হচ্ছে। প্রতিবছর অক্টোবর মাসের দ্বিতীয় শুক্রবার বিশ্ব ডিম দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ডিম দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য– ‘প্রতিদিন ডিম খাই, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াই’। ১৯৯৬ সালে প্রথমবারে মতো বিশ্বব্যাপী ডিম দিবস পালন শুরু হয়।

প্রাণিজ আমিষের চাহিদা পূরণ, স্বাস্থ্যবান ও মেধাবী জাতি গঠন–ডিমের খাদ্যমান ও পুষ্টিগুণ সম্পর্কে মানুষকে অবহিত করা। একইসঙ্গে ভোক্তার দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় ডিম অন্তর্ভুক্তি উৎসাহিত করা।

বাংলাদেশে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর, বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিল, ওয়ার্ল্ডস পোল্ট্রি সায়েন্সেস অ্যাসোসিয়েশন-বাংলাদেশ শাখা এবং জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার যৌথ উদ্যোগে ডিম দিবস পালিত হচ্ছে।

বাংলাদেশ ডিম উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের (ডিএলএস) লাইভ স্টক ইকোনমির তথ্য অনুসারে, গেল অর্থবছরে দেশে ডিম উৎপাদিত হয়েছে ২০ কোটি ৫৭ লাখ ৬৪ হাজার বা মাথাপিছু ১২১টি। আগের বছর ছিল ১৭ কোটি ৩৬ লাখ ৪৩ হাজার বা মাথাপিছু ১০৪টি। সে হিসাবে এক বছরে ডিমের উৎপাদন বেড়েছে তিন কোটি ২১ লাখ আর মাথাপিছু বেড়েছে ১৭টি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডাব্লিউএইচও) পুষ্টিমান অনুসারে, বছরে একজন মানুষকে কমপক্ষে ১০৪টি ডিম খেতে হবে।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. শেখ আজিজুর রহমান বলেন, ‘ডিমের বাজার বড় হলেও অনেক উচ্চশিক্ষিত মানুষের মধ্যেও কিছু ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে। এর সবগুলোই অমূলক। ডিমের পুষ্টিগুণ নির্ভর করে ডিমের আকার ও ওজনের ওপর। এ ছাড়া হৃদরোগের ধারণাও ঠিক নয়। ডিম নিয়ে ভ্রান্ত ধারণা দূর করতে আমরা সেমিনার, প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি।’

এছাড়া টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট-২০৩০ বাস্তবায়নে জনপ্রতি দুধ, মাংস ও ডিম যথাক্রমে ২৭০মিলি, ১৫০গ্রাম এবং ১৬৫টি বছরে ধরা হয়েছে। বাংলাদেশ দ্বিতীয় প্রেক্ষিত পরিকল্পনা (২০২১-৪১) বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে রূপকল্প-২০৪১ ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশে রূপান্তরের লক্ষ্যে জনপ্রতি দুধ ৩০০ মিলি, মাংস ১৬০ গ্রাম ও ডিম ২০৮টি বছরে ধরা হয়েছে। এই লক্ষ্য বাস্তবায়নে প্রাণিসম্পদ অধিদফতর ডিম উৎপাদনের একটি প্রাক্কলন করেছে। সে হিসাব অনুযায়ী ২০৩১ সাল নাগাদ বাংলাদেশে ডিমের বার্ষিক উৎপাদন হবে প্রায় ৩২৯৩.৪ কোটি এবং ২০৪১ সাল নাগাদ ৪৬৪৮.৮ কোটি।

একটি ডিমে প্রায় ৬ গ্রাম প্রোটিন, ৫ গ্রাম উন্নত ফ্যাটি এসিড, ৭০-৭৭ কিলোক্যালরি শক্তি, ১০০-১৪০ মিলিগ্রাম কোলিন ও অন্যান্য পুষ্টি উপকরণ থাকে।এছাড়াও ডিমে থাকা লিউটিন ও জেক্সানথিন চোখের দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। পাশাপাশি ডিমে থাকা ডেনসিটি লিপোপ্রোটিন হৃদরোগ প্রতিরোধেও সাহায্য করে।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ

মা হারালেন ঋতুপর্ণা

- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন