তবে একই মোজা বারবার পরলে বা মোজা ছাড়া জুতা পরলে, জুতায় ঘাম জমতে শুরু করে। ফলে ব্যাকটেরিয়া ও ফাঙ্গাস বাড়তে থাকে। এই সংক্রমণের কারণে ছত্রাকগুলো পায়ে দাদ হওয়ার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
তাছাড়া একই স্টকিং না ধুয়ে বারবার পরবেন না। এমনকি মোজা ধোয়ার পরেও সঠিকভাবে জীবাণুমুক্ত করা প্রয়োজন। ধোয়ার সময় মনে রাখবেন, মোজা থেকে ডিটারজেন্টটি ভালোভাবে সরানো হয়েছে।
অন্যথায় আক্রান্ত স্থানে ফুসকুড়ি ও জ্বালা হতে পারে। মোজা পরার সময় খেয়াল রাখবেন যেন সেগুলো সম্পূর্ণ শুকনো থাকে ও তাতে কোনো আর্দ্রতা না থাকে।
স্যান্ডেল পরুন
চর্মরোগ বিশেষজ্ঞদের মতে, ঘামের আর্দ্রতা নানা ধরনের সংক্রমণ ঘটাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে যাতে পায়ে বাতাস লাগে এজন্য খোলা স্যান্ডেল পরুন। যাতে বাতাস পায়ের পাতায় পৌঁছায় ও ঘা শুষ্ক থাকে।
প্রয়োজনে সপ্তাহে অন্তত একদিন জুতা ও মোজার পরিবর্তে স্যান্ডেল বা চপ্পল পরে বাইরে যাওয়ার চেষ্টা করুন।
ঢিলেঢালা মোজা পরুন
টাইট মোজা রক্ত সঞ্চালনকে ধীর করে দেয়। এছাড়া আঁটসাঁট মোজাও শরীরের তাপ বের হতে দেয় না, যা অতিরিক্ত গরমের সমস্যা হতে পারে। পায়েরও শ্বাস নিতে হয়। সেজন্য কিছু সময় পা খোলা রাখা ও ঢিলেঢালা মোজা পরা প্রয়োজন।
পায়ের মাপের চেয়ে একটু বড় সুতির মোজা পরুন। মোজাগুলো যথেষ্ট শক্ত হওয়া উচিত যাতে ত্বকে কোনো চিহ্ন না থাকে। যদি মোজা থেকে ত্বকে দাগ তৈরি হয়, তাহলে এর অর্থ আপনাকে বড় সাইজের মোজা নিতে হবে।