English

25 C
Dhaka
রবিবার, ডিসেম্বর ২২, ২০২৪
- Advertisement -

থাইরয়েড সমস্যা থেকে বাঁচতে যে খাবারগুলো এড়িয়ে চলবেন

- Advertisements -

একটা ছোট্ট গ্রন্থি, কিন্তু সেটা যদি কোনও কারণে নিয়মের বাইরে চলে যায়, তা হলেই বিপদ। থাইরয়েড হলো এমন একটি সমস্যা যার পুরোপুরি নিরাময় সম্ভব না। তবে কিছু নিয়ম মেনে চললেই নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। থাইরয়েড গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত হরমোন আমাদের শরীরের পক্ষে খুব উপকারী। এই হরমোন মেটাবলিজম নিয়ন্ত্রণ করে এবং ক্ষতিগ্রস্ত কোষ সারিয়ে তুলতে কাজে দেয়। তবে এই হরমোনের নিঃসরণ কম বা বেশি হলেই নানা রকম শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়।
অনেক সময়ে নানা কারণে এই গ্রন্থি সঠিক পরিমাণে হরমোন নিঃসরণ বন্ধ করে দেয়। তখন বিনা পরিশ্রমেও ক্লান্তি দেখা দেয়, বাড়তে থাকে ওজন। চিকিৎসার ভাষায় একেই হাইপোথাইরয়ডিজম বলে। সাধারণত এই রোগ পুরোপুরি নির্মূল হয় না। তবে কয়েকটি খাবার এড়িয়ে চললে হাইপোথাইরয়ডিজম বা থাইরয়েডের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।
থাইরয়েডের  সমস্যা থাকলে প্রথমেই এড়িয়ে চলতে হবে জাঙ্ক প্রসেসড খাবার। খেতে ভাল লাগলেও যাদের থাইরয়েডের সমস্যা আছে, তাদের জন্য এ ধরনের খাবার বিষের সমান। প্যাকেটজাত মাংস, চিপস, কেক বা ক্যান ভর্তি নরম পানীয়র মধ্যে কোনও পুষ্টিগুণ থাকে না। কিন্তু এগুলোর মধ্যে থাকে প্রচুর চিনি আর নুন। থাইরয়েডে হজম ক্ষমতা কমে যায়, তাই বাড়তি ক্যালোরি কম করা একটা সমস্যা হয়ে যায়।
থাইরয়েড থাকাকালীন মুড সুইংয়ের সঙ্গে অ্যালকোহলের যোগ আছে। অতি মাত্রায় অ্যালকোহল সরাসরি থাইরয়েড গ্রন্থিকে প্রভাবিত করে। এতে আচমকা হরমোন নিঃসরণ বেড়ে যায় বা কমে যায়। তাই এড়িয়ে চলা উচিৎ অ্যালকোহলও।
সকালে এক কাপ কফি না হলে অনেকেরই চলে না। কিন্তু যাদের থাইরয়েড আছে, তাদের জন্য কফি পান না করাই ভালো। সকালে উঠে থাইরয়েডের ওষুধ খাওয়ার পর যদি চিকিৎসক অনুমতি দেন, একমাত্র তা হলেই ৩০ থেকে ৪৫ মিনিট পর সারা দিনে মাত্র এক কাপ কফি পান করা যেতে পারে।
থাইরয়েড থাকলে এড়িয়ে চলতে হবে গম, বার্লি, মিলেট জাতীয় খাবার। কারণ এতে গ্লুটেন থাকে। কফির মতো গ্লুটেনও  থাইরয়েডের সমস্যায় শরীরের পক্ষে অতীব ক্ষতিকর। তবে গ্লুটেনমুক্ত খাবার যেমন কিনোয়া, রাগি এগুলো খাওয়া যেতে পারে।
তবে থাইরয়েড থাকলে তাদের সবজি খেতে কোনও বাধা নেই। কিন্তু ব্রোকলি, বাঁধাকপি নিয়ে মতবিরোধ আছে।  অনেক চিকিৎসক বলেন যে ভাল করে রান্না করে খেলে এই সবজি খাওয়া যেতে পারে। এছাড়া সোয়াজাত খাবার না খাওয়ায় ভালো। যদিও থাইরয়েড গ্রন্থির উপর সোয়াজাত খাবারের প্রভাব কতটা, সেটা নিয়ে বিতর্ক আছে। তবে সুরক্ষিত থাকার জন্য এই জাতীয় খাবার কম খাওয়াই ভাল।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন