অল্প বয়সে চুল পেকে যাওয়া অস্বাভাবিক নয়। অনেকেরই চুল অসময়ে পাকে। এক্ষেত্রে অনেকে চুলে রং ব্যবহার করাকে দায়ী করেন। কম দামি ও ক্ষতিকর রাসায়নিকযুক্ত রং ব্যবহারে ক্ষতি হতেই পারে। কিন্তু চুলে রং করলেই তা পাকে এমন অস্বাভাবিক ধারণা অনেকের মধ্যেই আছে। এ বিষয়ে বলেছেন, ভারতীয় চিকিৎসক অনিকা গোয়েল।
তিনি জানান, কালো কিংবা সাদা চুলে হেয়ার কালার করলে তা আশপাশের চুলের প্রাকৃতিক রং নষ্ট করে না। আর তাই কালো চুল সাদা হওয়ার শঙ্কা নেই। তবে এ তথ্যের সঙ্গে ডা. অনিকা আরও বলেছেন, চুলে রং করলে চুলের প্রাকৃতিক যে সৌন্দর্য তা কমতে শুরু করে। চুলের রেশমি, কোমল ভাবও মলিন হতে শুরু করে। চুলের অবস্থা এতটাই খারাপ হয় যে চুলকে ব্যবহার করা ঝাড়ুর সঙ্গে তুলনা করেন তিনি। এ ছাড়া চুলে রং ব্যবহার করার কারণে চুলের গোড়া দুর্বল হয়ে তা ভেঙে যায়।
তাই যারা পাকা বা সাদা চুল আড়াল করতে চুল রঙিন করেন অথবা যারা ফ্যাশনের জন্য রঙিন চুলকে প্রাধান্য দেন তারা হেয়ার কালার করার পর বাড়তি সতর্কতা মেনে চলবেন।
বিশেষজ্ঞদের অভিমত, ফলিকল থেকে চুলে পাক ধরে। বয়স এখানে একটি কারণ। আবার অনেকের জিনগত সমস্যার কারণেও এমনটি হতে পারে। অর্থাৎ ফলিকলে বিরূপ প্রভাব আমাদের চুল পাকানোর জন্য যথেষ্ট। কিন্তু চুলে রং করা হলে রং সচরাচর চুলের ওপরের স্তরে থাকে। এ রং ফলিকল পর্যন্ত পৌঁছায় না। তাই চুলে রং করা হলেও স্বাভাবিকভাবে চুল পাকতে পারে। এক্ষেত্রে রং কোনো বাধা নয়। বরং ফলিকল কীভাবে ভালো রাখা যায় এ ব্যাপারে আপনাকে ভাবতে হবে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, রাসায়নিক কিংবা ক্ষতিকর কেমিক্যালযুক্ত রং ব্যবহার না করে প্রাকৃতিক রং যেমন মেহেদি, চায়ের লিকারের প্রাকৃতিক রং ব্যবহার করলে নিরাপদে রাখতে পারবেন আপনার চুল। সেই সঙ্গে এতে শুধু চুলই রং হবে না, চুলের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত হওয়ার পাশাপাশি বাড়বে চুলের ঔজ্জ্বল্যও। সবচেয়ে ভালো হয় রাসায়নিক উপাদান নেই এমন রং ব্যবহার করা। বাজারে অনেক ধরনের রং আছে। এসব রঙের উপাদানগুলো দেখুন। এসব উপাদানের প্রভাব কেমন তাও দেখে নিতে হবে। আর সচেতনতা আপনাকে আনতে হবে।