চলছে মে মাস। আর কয়েকটা দিন পরই বাজারে বিক্রি হবে লাল লাল লিচু। গরমকালে আমের যে চাহিদা আর কদর থাকে, সেতুলনায় কম থাকলেও লিচুপ্রেমীদের সংখ্যা কম নয়। লাল টসটসে রসাল ও মিষ্টি লিচুর স্বাদ এই গরমে আরাম দেয়। এই ফল যে শুধুমাত্র স্বাদগ্রন্থিতে উদ্দীপিত করে তা নয়, স্বাস্থ্যের জন্যও রয়েছে প্রচুর গুণ। আপনার প্রিয় ফল হলেও অনেকে আবার লিচু খেলে পছন্দ করেন না।
তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গরমকালে শরীরকে চাঙ্গা ও সুস্থ রাখতে প্রতিদিন খেতে পারেন এই ফল। অনেকে মনে করেন, লিচু বেশি খেলে পেটে ব্যথা শুরু হয়। কথাটি সত্য। তবে সঠিক নির্দেশিকা মেনে লিচু খেলে এই ফলের বিকল্প কিছু হয় না।
তপ্তদিনে শরীরকে হাইড্রেট রাখতে একবাটি লিচু ডায়েটে রাখলে কোনও ক্ষতি নয়, বরং সতেজ ও চাঙ্গা থাকবেন। লিচু প্রধাণত পানি ও কার্বোহাইড্রেট দ্বারা গঠিত।
১০০গ্রাম লিচুতে কী কী পরিমাণ খনিজ, ভিটামিন ও প্রোটিন রয়েছে, তা এখানে দেওয়া হল- ৬৬ গ্রাম ক্যালোরি, ০.৪ গ্রাম প্রোটিন, ১.৩ গ্রাম ফাইবার, ১৫.২ গ্রাম চিনি, ০.৩ গ্রাম ফ্য়াট, ১৬.৫ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ভিটামিন সি, কপার, পটাসিয়াম।
এই ছোট ফলে ফাইবার, ফ্যাট,কার্বোহাইড্রেট ও চিনির মাত্রার সঙ্গে সঙ্গে নিয়মিত খেলে কীভাবে শরীরকে সুস্থ রাখে, তা আজকের এই প্রতিবেদন থেকে দেখে নিন-
ওজন কমানো: বেশি পরিমাণে চিনি এবং কার্বোহাইড্রেট থাকা সত্ত্বেও, নিয়মিত লিচু খাওয়া ক্লান্তি এবং প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। ওয়ার্কআউটের পরে এবং পেটের জেদি চর্বিও কমাতে পারে।
লিভার ক্যান্সার রোধ: ক্যান্সার লেটার্স সায়েন্স জার্নাল অনুসারে, এই ফলের নির্যাসে ক্যান্সার প্রতিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যা লিভার ক্যান্সারের কোষের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে।
স্ট্রোকের প্রবণতা কমায় : লিচুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি পাওয়া যায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, ডায়েটে লিচু যোগ করলে স্ট্রোকের ঝুঁকি প্রায় ৪২ শতাংশ কমে যেতে পারে।
ইমিউনিটি বাড়ায়: উচ্চ মাত্রায় ভিটামিন সি থাকায়, নিয়মিত লিচু খাওয়া রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ভালো কাজ করে।
ব্য়থা-যন্ত্রণা কমায়: লিচুতে থাকা পলিফেনল প্রদাহের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে যার ফলে হৃদরোগ, ডায়াবেটিস এবং ক্যান্সারের ঝুঁকি হ্রাস পায়।