বয়স ৪০ পেরোলেই দেখা যায় হাঁটতে কষ্ট হচ্ছে। ক’দিন পরপরই হাঁটুতে ব্যথা। উঠতে বসতে সমস্যা। অনেকে নিজে নিজে ব্যথানাশক ওষুধ খেয়ে নেন। তবে তাতেও কাজে দেয় না। পরে যখন চিকিৎসকের কাছে যাওয়া হয়, পরীক্ষা করলে দেখা যায় হাড়ক্ষয় হতে শুরু করেছে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, ক্যালসিয়ামের অভাবেই মূলত হাড়ক্ষয় রোগ দেখা দেয়।
হাড়ের কাঠামো ও পেশিগুলোকে সচল রাখতে ক্যালসিয়ামের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। ক্যালসিয়াম ছাড়া ভিটামিন এ, ডি, ই আর কে-র মতো ভিটামিনগুলো শরীরে সঠিকভাবে কাজ করতে পারে না।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের শরীরে প্রতিদিন এক হাজার মিলিগ্রাম ক্যালসিয়ামের প্রয়োজনীতা আছে৷ আর এই ক্যালসিয়াম আমরা প্রতিদিনের খাবার থেকেই পেয়ে থাকি।
যেসব খাবার থেকে আমরা ক্যালসিয়াম পেতে পারি। জেনে নিন:
আমরা জানি, দুধে প্রচুর ক্যালসিয়াম থাকে। এক কাপ দুধে প্রায় ২৭০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়।
প্রোটিন, ভিটামিন, ক্যালসিয়াম, ছাড়াও ফসফরাস ও জিঙ্কের মতো মিনারেলের সন্ধান মিলবে চিজ বা পনিরে।
যারা দুধ হজম করতে পারেন না বা পছন্দ করেন না, তাদের জন্য আদর্শ হচ্ছে দই৷ এক কাপ দইয়ে ক্যালসিয়ামের পরিমাণ ২৮০ মিলিগ্রামের কাছাকাছি
নানা ধরনের ডালেও প্রচুর ক্যালসিয়াম মেলে৷ এক কাপ রান্না করা মুগ ডালে ক্যালসিয়ামের পরিমাণও ২৫০ মিলিগ্রাম
পালং শাক, বাঁধাকপি, ব্রকোলি আর ফুলকপি থেকেও ক্যালসিয়াম পেয়ে থাকি। তবে এসব শাক-সবজি ধুয়ে কাটতে হবে, কাটার পরে ধোয়া যাবে না। এতে পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যায়
শুকনো ফল খেজুর, বাদামেও বেশ ভালো পরিমাণেই ক্যালসিয়াম মেলে। এছাড়াও সামুদ্রিক মাছ, ডিম, মাংসও ক্যালশিয়ামের জোগান দেয়। এবার হিসাব করে খাবারগুলো নিয়মমতো খেলেই শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় ক্যালসিয়াম পেয়ে যাবেন।