হাত-পায়ে ঝি ঝি ধরার সমস্যায় কমবেশি সবাই ভোগেন। দীর্ঘক্ষণ একনাগাড়ে ভুলভাবে বসে থাকার কারণে পায়ে অসাড়তা অনুভব হতে পারে।
একই ভাবে ঘুমের মধ্যে বা অন্য কোনো কারণে দীর্ঘক্ষণ হাত ভুল অবস্থায় থাকার কারণেও ঝি ঝি ধরতে পারে। তবে এই সমস্যাটি কিন্তু গুরুতর কোনো সমস্যা ইঙ্গিতও হতে পারে।
এমন পরিস্থিতিতে এটি স্নায়ুর ক্ষতির লক্ষণও হতে পারে। এমনকি গুরুতর ৫ কারণে প্রায়ই হাত-পায়ে ঝি ঝি ধরার লক্ষণ দেখা দিতে পারে, চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক-
ডায়াবেটিস
হাত-পায়ে বেদনাদায়ক ঝি ঝি ধরার অন্যতম এক কারণ হতে পারে ডায়াবেটিস। ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথিতে প্রথমে উভয় পায়ে টিংলিং ও অন্যান্য উপসর্গ দেখা দেয়।
এরপর হাতে এর প্রভাব দেখা দিতে থাকে। দুই-তৃতীয়াংশ ডায়াবেটিক রোগীর স্নায়ুর ক্ষতির কমবেশি লক্ষণ দেখা যায়।
ভিটামিনের ঘাটতি
বর্তমানে বেশিরভাগ মানুষই শরীরে বিভিন্ন ভিটামিনের ঘাটতি নিয়ে ভুগছেন। সুস্থ স্নায়ুর জন্য শরীরে ভিটামিন ই, বি১, বি৬ ও বি১২ প্রয়োজন। শরীরে ভিটামিনের ঘাটতি দেখা দিলে কাঁপুনিও অনুভূত হয়।
আঘাত
অনেক সময় আঘাতের কারণে স্নায়ু চাপা পড়ে বা চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে নষ্ট হয়ে যায়, যার কারণে কাঁপুনি ও ব্যথারও সম্মুখীন হতে হয়।
অ্যালকোহলিজম
অতিরিক্ত অ্যালকোহল পান করার ফলেও হাত ও পায়ে খিঁচুনি হতে পারে। অ্যালকোহল পান ও অস্বাস্থ্যকর খাবারের কারণে, শরীরে থায়ামিন বা অন্যান্য প্রয়োজনীয় ভিটামিনের ঘাটতি হতে পারে। যার কারণে ঝি ঝি ধরা/ অবশভাব/ টিংলিং (পেরিফেরাল নিউরোপ্যাথি) সমস্যা হতে পারে।
সিস্টেমিক ডিজিজ
সিস্টেমিক রোগ যেমন- কিডনি ব্যাধি, লিভারের রোগ, ভাস্কুলার ড্যামেজ, রক্তের রোগ, দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহ ছাড়াও হাত ও পায়ে খিঁচুনি হতে পারে।