সাধারণত হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য দুধ, ডিম বা দই—এই ধরনের প্রাণিজ উৎসের খাবারের কথা মাথায় আসে। তবে উদ্ভিজ্জ উৎস থেকেও হাড়ের জন্য উপকারী উপাদান পাওয়া যায়, আর সে উপাদানগুলো বেশিরভাগ সময় শাকে পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে নিউ ইয়র্ক সিটির পুষ্টিবিষয়ক প্রতিষ্ঠান এমপিএম নিউট্রিশনের প্রতিষ্ঠাতা ও পুষ্টিবিদ মারিসা (মেশুলাম) কার্প বলেন, ‘সব পত্রল সবজি হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে, তবে কলার্ড গ্রিন (বাংলায় খোলা পাতাকপি শাক) অন্যান্য সবজির তুলনায় অনেক বেশি উপকারী।’
হাড়ের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খনিজ উপাদান হচ্ছে ক্যালসিয়াম। এক কাপ সেদ্ধ করা কলার্ড গ্রিন থেকে প্রায় ২৭০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়, যা ৮ আউন্স বা এক কাপ টক দইয়ের সমান। অন্যদিকে, এক কাপ কেইল বা পাতাকপিতে রয়েছে ১৭৭ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম এবং সরিষা শাকে ১৬৫ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম থাকে।
এছাড়াও, এক কাপ সেদ্ধ কলার্ড গ্রিন থেকে পাওয়া যাবে ৮০০ মাইক্রোগ্রাম ভিটামিন কে, যা দৈনিক চাহিদার ৮০০ শতাংশ পূরণ করে। কার্প বলেন,’ভিটামিন কে দেহে ক্যালসিয়ামের সঠিক ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করে। এই ভিটামিনের অভাব হলে হাড় ভঙ্গুর হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি বাড়ে।’
এই পাতাকপির শাকে ২২২ মিলিগ্রাম পটাসিয়ামও রয়েছে, যা ক্যালসিয়ামের ক্ষয় রোধে সহায়তা করে। পটাসিয়াম হাড়ের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
এছাড়াও কলার্ড গ্রিনে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে এবং দীর্ঘমেয়াদি রোগের ঝুঁকি হ্রাস করে। প্রতি কাপ সেদ্ধ কলার্ড গ্রিনে প্রায় ৮ গ্রাম আঁশ থাকে, যা হজম প্রক্রিয়াকে নিয়মিত রাখতে সহায়তা করে।
এই শাকটিকে সুপ, হালকা ভেজে বা পাস্তার সঙ্গে সিদ্ধ করে খাওয়া যেতে পারে, যা হাড়ের জন্য উপকারী।