শুয়ে বা বসে থাকা অবস্থায় হঠাৎ পায়ের পেশিতে টান অনুভব করলে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। বরং সচেতন হয়ে সিদ্ধান্ত নিন, কী করবেন। চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় এই সমস্যাকে বলে ‘নকটার্নাল লেগ ক্র্যাম্পস’। যেকোন বয়সের মানুষ এই সমস্যায় পড়তে পারেন। পঞ্চাশের পরে এই সমস্যা বেশি হয়। পায়ের পেশির টান কিছু সময় পর নিজে নিজেই সরে যায়। তবে সরে গেলে যন্ত্রণাটা দীর্ঘ সময় থাকতে পারে। সে ক্ষেত্রে কী করণীয় জেনে নিন।
চিকিৎসকেরা বলেন—পেশিতে টান ধরার অন্যতম কারণ হচ্ছে পানিশূন্যতা। প্রয়োজনের থেকে কম পানি পান করলে এই সমস্যায় ভুগতে হতে পারে। পেশিতে ল্যাকটিক অ্যাসিড জমে গেলেও এই সমস্যা হতে পারে। এবং শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন ও পটাশিয়ামের অভাব হলে ঘন ঘন পেশিতে টান অনুভব করতে পারেন।
যা করতে হবে—
হালকা করে পা ঝাঁকাতে পারেন
বসা বা শোয়া অবস্থায় এই সমস্যা দেখা দিলে ধীরে ধীরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করুন
আস্তে আস্তে হাঁটার চেষ্টা করতে পারেন
আক্রান্ত জায়গায় বরফের সেঁক নিতে পারেন
যে জায়গায় ব্যথা বা টান অনুভব হচ্ছে সেই জায়গায় আস্তে আস্তে ম্যাসাজ করুন
তোয়ালে বা সুতি কাপড় ভিজিয়ে ভালো করে নিংড়ে নিয়ে ভেজা তোয়ালে আক্রান্ত জায়গায় চেপে ধরে রাখতে পারেন
আরাম করে দাঁড়ান। তারপর যে পায়ে টান অনুভব করছেন সেই পা কোমর বরাবর সামনের দিকে তুলুন। ১০ সেকেন্ড এভাবে রেখে ধীরে ধীরে পা নামিয়ে নিন
উপরোক্ত উপায়গুলো রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে সহায়তা দিতে পারে। এতে পেশির টান ছেড়ে যেতে পারে। প্রয়োজনে ফিজিওথেরাপিস্টের পরামর্শ নিন।
কখন ডাক্তার দেখাবেন—
পায়ে ব্যথার পাশাপাশি জ্বর থাকলে
যদি আপনার পা ফুলে যায় এবং তা লাল হয়ে যায়
যদি ঘরোয়া প্রতিকার আপনার ব্যথা উপশম করতে সাহায্য না করে
আপনার পা যদি নীল বা কালো হয়ে যায়
হাঁটা বা ব্যায়াম করার সময় বেশি ব্যথা অনুভব করলে
আপনি যদি অনুভব করেন যে আপনার পা ঠান্ডা এবং ফ্যাকাশে হয়ে গেছে
পেশিতে টান অনুভব করলে পায়ের রং পরিবর্তন হয় কিনা খেয়াল করুন। এবং চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করুন।
তথ্যসূত্র: ফার্মইজি অবলম্বণে