স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক হলো আস্থা ও বিশ্বাসের সম্পর্ক। এই সম্পর্কে অন্য কেউ প্রবেশ করলে দেখা দেয় ফাটল বা চির। আপনি যদি দেখেন কেউ আপনার স্বামীকে পটানোর চেষ্টা করছে তাহলে আপনি ক্ষিপ্ত হয়ে উঠবেন এটাই স্বাভাবিক। অনেক মেয়ে আছে যারা বিবাহিত পুরুষকে ফ্লার্ট করে নিয়মিত। অনেকে এটিকে চ্যালেঞ্জ হিসেবেও গ্রহণ করে। বিষয়টির ফলাফল নির্ভর করে আপনার স্বামী কেমন প্রতিক্রিয়া জানায় তার ওপর। আপনার স্বামী যদি একই পরিস্থিতির সম্মুখ্খীন তাহলে অবশ্যই তা আপনার জন্য চিন্তার বিষয়। সেক্ষেত্রে একজন স্ত্রী হিসেবে করণীয় কি চলুন জেনে নেওয়া যাক।
বন্ধু বানানোর চেষ্টা করুন:
আপনার স্বামীকে যে বশে আনার চেষ্টা করছে তার সাথে প্রথমে বাগ-বিতণ্ডায় না গিয়ে ভালো ব্যবহার করুন। প্রয়োজনে বন্ধু হয়ে উঠুন। যখন সে দেখবে আপনি এত নরম মনের ও দয়ালু তখন সে স্বামীর সাথে গোপন কথা বলার সময়েও ভাববে। এই পরিস্থিতিতে অনেক নারীর চিন্তা-ধারার পরিবর্তন হয়।
স্বামীর সাথে যোগাযোগ বাড়ান:
অন্য মেয়ের সাথে যোগাযোগের বিষয়ে আপনার স্বামীকে সরাসরি আঘাত করলে পরিস্থিতি হতে বিপরীত হতে পারে। আপনার স্বামীর সাথে প্রথমে শান্তভাবে কথা বলুন। যা হয়েছে বা হচ্ছে তা নিয়ে খোলাখুলি আলোচনা করুন। এতে সমস্যা সমাধান হবে।
নিজেদের সম্পর্ককে গুরুত্ব দেওয়া:
ইদানীং আপনার স্বামীর মধ্যে অন্যরকম কিছু দেখছেন? এমনও হতে পারে আপনার স্বামী ওই নারীর সাথে অনিচ্ছাকৃতভাবে যোগাযোগ করছে। এজন্য এ সময়ে স্বামীর সাথে সম্পর্ক মজবুত করার চেষ্টা করুন। দূরত্ব বাড়ানোর পরিবর্তে তার সাথে সম্পর্ক সুন্দর করে তুলুন। একে অপরকে সময় দিন, বাইরে ডিনারে যান, বেড়াতে যান।
বিশ্বাস করা:
এ সময়ে স্বামীর ওপর থেকে বিশ্বাস অনেকটা উঠে যায়। কিন্তু মাথায় রাখবেন এইটা করা যাবে না। একটা বিষয় খেয়াল রাখুন যে নারীর ফ্লার্ট করছে তার দোষ আছে, আপনার না। আপনার স্বামী ওই নারীকে পটানোর চেষ্টা করেনি এ বিষয়টি মাথায় রাখুন।
হাসির ছলে গ্রহণ করা:
সন্দেহ করা ও রাগান্বিত হওয়ার পরিবর্তে হাসি মজার ছলেও বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে পারেন। একটা বিষয় ভাবুন যে মানুষটা আপনার স্বামী তাকে পটানোর জন্য অন্য এক মেয়ে চেষ্টা করে যাচ্ছে। বিষয়টি কিছুটা বেদনাদায়ক হলেও হাস্যরসের মতো করে উড়িয়ে দিতে পারেন।