হালকা শীতের এই সময়টায় কেমন যেন রুক্ষ হয়ে আছে চারদিক, সবুজ গাছের পাতাগুলো বৃষ্টির অভাবে ধুলোয় ধুসর। ফুলগুলো ফুটতেও আরও ক’দিন বাকি এমন আবহাওয়ায় দিনের শেষ দিকে এসে কেমন মন খারাপ লাগে, কোনো কাজেই যেন মন বসে না।
এই উদাসীনতার প্রভাব পড়ে ত্বকে-ঘুমে, জীবনযাপনে। ত্বক থেকে মন সবকিছুর সুস্থতা, সজীবতা আর সৌন্দর্যের রহস্য লুকিয়ে রয়েছে প্রকৃতিতে- আর তা হচ্ছে অ্যারোমাথেরাপি।
রানি ক্লিওপেট্রার রূপের রহস্যও ছিল অ্যারোমাথেরাপি। সংবাদ সংস্থা আইএনএস-এ অ্যারমাথেরাপিস্ট ব্লসম কোচার নিয়ে বলেন, বিভিন্ন উদ্ভিদ, মসলার নির্যাস তেল (এসেনসিয়াল অয়েল) বা সুগন্ধি ব্যবহারের মাধ্যমে অ্যারোমাথেরাপি করা হয়। এটি আমাদের শরীর ও মন ভালো রাখে।
• রাতে ভালো ঘুম হয়, মন শান্ত হয়
• আত্মবিশ্বাস বাড়ে
• ত্বকের বলিরেখা দূর করে তারুণ্য ধরে রাখে। ঘরে যেভাবে ব্যবহার করবেন:
• কালোজিরার তেল স্কাল্পে ম্যাসাজ করলে চুল ঘন ও লম্বা হয়
• বেসিল তেল ত্বকে জেল্লা এনে দেয় ও স্পর্শকাতর ত্বককে একেবারে জীবাণু মুক্ত রাখে
• প্রতিদিনের গোসলে ছেড়ে দিন কয়েকটি গোলাপের পাপড়ি
• বাড়তি সুগন্ধি ব্যবহার না করেও থাকতে পারবেন সুরভিত-স্নিগ্ধ
• ঘুমোনোর আগে বিছানায় কয়েক ফোঁটা ল্যাভেন্ডার অয়েল বা চন্দন তেল ছড়িয়ে নিন। দেখবেন, চন্দনের সুবাস এক নিমেষে কেমন ক্লান্তি দূর করে ঘুমের রাজ্যে হারিয়ে যাবেন।
বিভিন্ন ব্র্যান্ডের এসেনসিয়াল অয়েল বাজারে পাওয়া যায়। ছোট বোতলে দাম একটু বেশি মনে হতে পারে, তবে সৌন্দর্য ও সুস্থতার তুলনায় কিন্তু বেশি নয়। আর এই তেলগুলো পরিমাণে খুবই কম লাগে, কেনার সময় অবশ্যই ভালোমানের আসল পণ্য কিনুন।