পালংশাক স্বাস্থ্যগুণে ভরপুর। এটি শীতকালীন শাক হলেও আজকাল প্রায় সারাবছরই পাওয়া যায় । এতে পর্যাপ্ত পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে। ডায়েটে পালং শাক অন্তর্ভুক্ত করে অনেক স্বাস্থ্য সমস্যা এড়ানো যায়। পালং শাকে যে উপাদানগুলো পাওয়া যায় তা প্রধানত ক্যালসিয়াম, সোডিয়াম, ক্লোরিন, ফসফরাস, আয়রন, খনিজ লবণ, প্রোটিন, আয়রন, ভিটামিন এ এবং ভিটামিন সি সমৃদ্ধ। পালং শাক রান্না বা জুস করেও খাওয়া যায়। পালং শাক খেলে শরীরে সংক্রমণের ঝুঁকি কমে, অনেক রোগ এড়ানো যায়।
পালং শাক খেলে হাড় মজবুত হয়। এটি দৃষ্টিশক্তির জন্যও ভালো। যারা রক্তস্বল্পতায় ভোগেন তাদের নিয়মিত পালং শাক খাওয়া উচিত। পালং শাকে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে। এর পাশাপাশি এটি আয়রনেরও ভালো উৎস। পালং শাক হজম হতে সময় লাগে, এ কারণে এই শাক খেলে ক্ষুধা কম লাগে। যার ফলে এই শাক ওজন কমাতেও সাহায্য করতে পারে। পালং শাক আরও যেভাবে শরীরের জন্য উপকারী-
১. পালং শাকে ক্যালরি খুব কম এবং এটি পুষ্টি সমৃদ্ধ। এমন পরিস্থিতিতে ওজন কমানোর জন্য পালং শাক ভালো ডায়েট। কারণ কম ক্যালোরির সাথে এই শাক শরীরে প্রচুর শক্তি দেয়।
২. পালং শাক সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। এটি আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম, ফোলেট এবং ভিটামিন এ এর সমৃদ্ধ উৎস হিসেবে বিবেচিত হয়।
৩. পালং শাকে রয়েছে ম্যাঙ্গানিজ, ক্যারোটিন, আয়রন, আয়োডিন, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম, সোডিয়াম, ফসফরাস এবং প্রয়োজনীয় অ্যামিনো অ্যাসিড যা সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।
৪. পালং শাকে থাকা ক্যারোটিন এবং ক্লোরোফিল ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সহায়ক।
৫. ভিটামিন এ সমৃদ্ধ পালং শাক চোখের জন্য খুব ভালো বলে প্রমাণিত।
৬. পালং শাকে ভালো পরিমাণে ফাইবার থাকায় এটি হজমশক্তির উন্নতি ঘটায় যা ওজন কমাতে সাহায্য করে।
৭. পালং শাকে থাকা ফাইবার রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণেও সহায়ক। এ কারণে এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যও ভালো।