সকালে উঠেই ছুটতে হয় অফিস। ফলে রূপটানের সময়ই পান না। বর্তমানে অনেকেই আলাদা করে ত্বকের যত্ন নেওয়ার সময়ই নেই। ফলে ক্রমশ নির্জীব হতে থাকে ত্বক, পড়তে থাকে বয়সের ছাপ। অথচ রোজের কিছু অভ্যাসে একটু-আধটু বদল আনলেই ফিরে আসতে পারে ত্বকের জেল্লা।
সানস্ক্রিন
সূর্যের প্রখর তাপে ক্ষতি হতে পারে ত্বকের, বিশেষ করে অতিবেগুনি রশ্মি থেকে ত্বককে রক্ষা করা খুবই জরুরি। তাই বাইরে বেরোলে অবশ্যই সানস্ক্রিন লোশন মেখে বেরোন। অন্তত এসপিএফ ৩০ মাত্রার সানস্ক্রিন লোশন ব্যবহার করুন। যদি বাইরে একটানা থাকার প্রয়োজন হয়, তবে ২ ঘণ্টা অন্তর অন্তর নতুন করে সানস্ক্রিন লোশন মাখতে হবে।
ময়শ্চরাইজার
ত্বক শুষ্ক হয়ে গেলে যেমন কোষের ক্ষতি হয়, তেমনই বেড়ে যায় জীবাণু সংক্রমণ কিংবা ব্রণের মতো সমস্যা। দেখা দিতে পারে ক্ষত ও চুলকানিও। তাই ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখা অত্যন্ত জরুরি। তবে কোন ধরনের ময়শচরাইজার ব্যবহার করবেন তা নিয়ে সতর্ক থাকতে হবে। ত্বকে তেলের পরিমাণ কেমন তার উপর ভিত্তি করে বাছতে হবে ময়শ্চরাইজার। ত্বকের তেলের পরিমাণ বেশি থাকলে, ক্রিমের বদলে লোশন ব্যবহার করাই শ্রেয়, আবার ত্বক শুষ্ক হলে সাধারণত ক্রিম জাতীয় ময়শ্চরাইজার ব্যবহার করার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।
খাওয়াদাওয়া
শুধু হরেক রকমের প্রসাধনী মাখলেই চলবে না। খেতে হবে পুষ্টিকর খাবার ও প্রচুর পরিমাণ পানি। বিশেষ করে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ শাক-সবজি ও ফল খেতে হবে বেশি করে। এতে জারণঘটিত চাপ হ্রাস পায়। ফলে ত্বকের কোষ থাকে সজীব, ঝলমলে দেখায় ত্বক।