ঈদ মানে খুশি, ঈদ মানে আনন্দ। আর এই খুশির দিনটিতে নানা স্বাদের খাবার রান্না করতে দেখা যায়। ঈদ উপলক্ষে প্রতিটি বাড়িতে হয় নানা ধরনের মুখরোচক খাবার। আবার অনেকেই চেষ্টা করেন ঈদ উপলক্ষে খাবারে ভিন্নতা রাখতে। ঈদে ঘরের খাবারে বৈচিত্র্য ও স্বাদে ভিন্নতা আনতে রাখতে পারেন কাঁঠালের বিরিয়ানি।
চলুন জেনে নেওয়া যাক কাঁঠালের বিরিয়ানির রেসিপি-
উপকরণ:
দই ১ কাপ, আদা রসুনের পেস্ট ২ চা চামচ, হলুদ আধা চা চামচ, মরিচের গুঁড়া ১ চা চামচ, বিরিয়ানি মসলা ৩ চা চামচ, লবণ পরিমাণ মতো, লেবুর রস ২ চা চামচ, তেল ৪ চা চামচ, ধনে পাতা কুঁচি ৩ চা চামচ (কাটা), পুদিনা পাতা কুঁচি ৩ চা চামচ, কাঁচা কাঁঠাল (সেদ্ধ করা) ১২ টুকরা, গাজর (টুকরা) ১টি, আলু (কাটা) ১টি, মটরশুটি, পেঁয়াজ বেরেস্তা ৪ চা চামচ, পেঁয়াজ (কুঁচি) ২টি, ঘি ২ চা চামচ, ক্যাপসিকাম ৮ টুকরা, জাফরান দুধ ২ চা চামচ, দারুচিনি ৩-৪ টুকরা, কালো এলাচ ১টি, বাসমতি চাল ২ কাপ, গোলমরিচ ১ চা চামচ, লবঙ্গ ৩-৪টি, এলাচ ৪টি, লেবুর রস ২ চা চামচ, কাঁচা মরিচ ২টি, লবণ পরিমাণমতো।
কাঁঠালের বিরিয়ানির রেসিপি:
প্রথমে একটি বাটিতে দই, ১ চামচ আদা রসুনের পেস্ট, হলুদ, মরিচের গুঁড়া, ২ চামচ বিরিয়ানি মসলা, লবণ, লেবুর রস, তেল, ধনেপাতা পুদিনা, কাঁঠাল, গাজর, আলু, মটরশুটি, পেঁয়াজ বেরেস্তা ভালোভাবে মিশিয়ে ৩০ মিনিট রেখে দিন।
বিরিয়ানির জন্য ভাত রান্না : প্রথমে চাল পরিষ্কার করে ধুয়ে ২০ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন। একটি পাত্রে পানি ফুটিয়ে তাতে লেবুর রস, কাঁচা মরিচ ও লবন দিয়ে ভিজিয়ে রাখা চাল সেদ্ধ করুন। এরপর সেটি থেকে মাড় ঝরিয়ে ফেলুন।
এবার আরেকটি পাত্রে ঘি ও তেল গরম করুন। এরপর তাতে তেজপাতা, দারুচিনি, কালো এলাচ, লবঙ্গ এবং সাদা এলাচ দিন। তারপর পেঁয়াজ কুঁচি, ১ চামচ আদা রসুন পেস্ট ও ক্যাপসিকাম দিয়ে ২ মিনিট ভেজে নিন। এবার ম্যারিনেট করা সবজি যোগ করে সেগুলো সেদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত অল্প আঁচে কষিয়ে নিন। এক্ষেত্রে প্রয়োজন না হলে বাড়তি পানি যোগ না করলেও চলবে। সবশেষে, সবজি এবং রান্না করা ভাত সমানভাবে লেয়ার করুন। এর ওপর জাফরান দুধ ও ঘি ছড়িয়ে ঢেলে দিন। ধনে পাতা ও পুদিনা পাতা কুচি ছড়িয়ে দিন। তারপর পাত্রের মুখ ভালোভাবে ঢেকে সবচেয় কম আঁচে ৩০ মিনিট দমে রাখুন।
ব্যস, তৈরি হয়ে গেল দারুণ স্বাদের কাঁঠালের বিরিয়ানি। এবার গরম গরম পরিবেশন করুন।