তৃষ্ণার্তকে পানি পান করানো পুণ্যর কাজ। কিন্তু আপনার অফিসে সহকর্মীরা যদি প্রতিদিন আপনার পানির বোতল থেকে জিজ্ঞাসা না করে পান করে নেন, এটা ঠিক কি না তা অনেকেই জানেন না হয়তো। চলুন জেনে নেই এ কাজটা ঠিক নাকি ভুল, আর স্বাস্থ্যর ক্ষতির বিষয়ে বিশেষজ্ঞরাই বা কি বলছেন।
জেনে নিন-
অনেক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ, এটিকে ভুল বলে মনে করেন। তাদের মতে, অন্যের পানির বোতল থেকে বারবার পানি পান করার অভ্যাস ভুল। অফিসে যাওয়া বেশির ভাগ মানুষই বাড়ি থেকে বোতলে পানীয় নিয়ে যান। অনেকেই আছেন যারা তাদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সঙ্গে নিয়ে অফিসে যান।
আবার কিছু লোকের এমন অভ্যাস থাকে যে তারা তাদের খাবার নিয়ে অফিসে যান, কিন্তু পানীয় পানের বোতল থাকে না সঙ্গে। আপনি যদি কাজ করেন তাহলে বিষয়টি সহজেই বুঝতে পারবেন। কারও কারও অভ্যাস থাকে যে তারা পানির বোতল নিয়ে অফিসে যান না, ডেস্কে রাখা অন্যের পানির বোতল থেকে পুরো পানি পান করে নেন। কিন্তু অনেক দিক থেকে এটা করা একেবারেই ভুল।
অন্যের পানির বোতলে পানি খাওয়া স্বাস্থ্যবিধি অনুযায়ী ভুল। প্রকৃতপক্ষে, কেউ যদি আপনার বোতল থেকে পানি পান করেন, তবে তার ঠোঁটের স্পর্শ করার সম্পূর্ণ সম্ভাবনা রয়েছে বোতলে। এক্ষেত্রে যদি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির শ্বাসকষ্টের রোগ থাকে তবে এই রোগটি অন্য ব্যবহারকারীর মধ্যেও ছড়িয়ে পড়তে পারে।
প্রথমত, অন্যের বোতল থেকে পানি পান করা ভুল। কিন্তু আপনার বোতলে কাউকে পানি পান করতে দিলেও, একটা জিনিস খেয়াল রাখবেন যে আপনি কার বোতল থেকে পানি পান করছেন। অথবা আপনি যে বোতল থেকে পানি পান করছেন তা পরিষ্কার কি না।
কেউ কেউ তো খুশি মনে নিজের পানির বোতলে অন্যকে পানি পান করতে দিয়ে দেন। কিন্তু, এমনটা করা উচিত নয়। কেউ আপনার পানির বোতল থেকে পানি পান করতে চাইলে আপনি প্রথমেই তাকে হয়তো নিষেধ করতে পারবেন না। কিন্তু, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির যদি এটা অভ্যাস হয়ে থাকে, তাহলে দ্বিতীয়বার তাকে নিষেধ করে দিন। অন্যথা, তার মুখের স্পর্শ থেকে রোগ ছড়াতে পারে। আজকের আধুনিক লাইফস্টাইলে, নিজের স্বাস্থ্যবিধির সম্পূর্ণ যত্ন নিন। কারণ, কোনো ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া জন্মাতে বেশি সময় নেয় না।