গাছের জন্য সার কিনতে গিয়ে পকেট খালি হয় অনেক বাগানিরই। তবে আপনি চাইলে গাছের জন্য প্রয়োজনীয় সার বাড়িতেই বানিয়ে নিতে পারেন। তাও আবার ফেলে দেওয়া সবজির খোসা দিয়ে।
জানুন উপায়-
শীত আসা মানেই বাজারে হাজারও সবজি। আর এই সবজির খোসা ফেলে দেবেন না ভুলেও। বরং এইগুলো জমিয়ে বাড়িতেই আপনি বিনা খরচে বানিয়ে নিতে পারবেন গাছের জন্য সার। শীতের ফুল আর ফল গাছের জন্য যা হবে বিশেষভাবে উপকারি। সবজির খোসায় থাকা খনিজ এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় গুণগুলো মাটিতে গেলেই গাছের বৃদ্ধি হবে তরতরিয়ে।
ভুলেও ফেলে দেবেন না পেঁয়াজ আর রসুনের খোসা। বরং এগুলো দিয়েও চমৎকার সার তৈরি করে নিতে পারবেন আপনি। পেঁয়াজ-রসুনের খোসা ১ মুঠোর মতো জমা করুন। এবার এগুলোকে এক লিটার পানিতে ভিজিয়ে রাখুন ৪-৫ দিনের জন্য। তারপর সেই পানি ছেঁকে নিয়ে আরও ১ লিটার পানি মিশিয়ে পাতলা করে নিন। তারপর প্রতিটা গাছে ১ কাপ করে দিয়ে দিন।
আলু কাজে আসে প্রতিদিনের রান্নায়। ফলে খোসাও জমে প্রচুর। আলুর খোসায় পাওয়া যায় পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস আর অনেক ধরনের ভিটামিন। ১ মুঠো আলুর খোসা নিয়ে ১ লিটার পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। বোতলের মুখ বন্ধ করে রেখে দিন ৩-৪ দিন। প্রতিদিন একবার একটা চামচ দিয়ে নেড়ে দেবেন। এরপর পাঁচ দিনের দিন ছাঁকনি দিয়ে ছেঁকে নিন। খোসা ভেজানো পানির সঙ্গে সম পরিমাণে টিউবয়েলের পানি মেশান। এবার তা গাছে দিন।
এত ঝামেলা পোহাতে না চাইলে ৫০০ লিটারের একটি বোতল মাঝখান থেকে কেটে নিন। ঢাকনার চারপাশের ১ ইঞ্জি মতো জায়গায় ফুটো করে নিন অনেকগুলো। এবার সেই বোতলে সবজির খোসা যোগ করুন। ওপর থেকে অল্প মাটির লেয়ার দিয়ে দিন। সামান্য পানি দিয়ে ভিজিয়ে দেবেন খোসা আর মাটি। তারপর কাগজ দিয়ে ওপরের অংশটা বন্ধ করে দিন। এবার বোতলের মুখের দিকটা এমনভাবে টবের পাশ দিয়ে পুঁতে দেবেন যাতে ফুটোর জায়গাগুলো মাটির ভিতরে থাকে। দেখবেন সবজির খোসা পচে নিজে নিজেই গাছকে খাবার দিচ্ছে। মাঝেমধ্যে বোতলে নতুন করে সবজির খোসা ভরে নিতে ভুলবেন না যেন।
কলার খোসা পটাসিয়ামে সমৃদ্ধ। কলার খোসা রোদে শুকিয়ে নিয়ে গুঁড়ো করে নিতে পারেন। এবার সেই গুঁড়ো ১ চা চামচ করে প্রতি ১৫ দিন অন্তর দিতে পারেন ফল বা সবজির গাছে। অথবা চাইলে কলার খোসা কেটে কুচি কুচি করে গাছের মাটিতে গর্ত খুঁড়ে তাতে দিয়ে দিতে পারেন। দেখবেন কিছুদিনের মধ্যেই তা ডি কমপোস্ট হয়ে মাটির সঙ্গে মিশে গিয়েছে। অথবা ১ বোতল পানিতে ২-৩টি কলার খোসা ৪-৫দিন ভিজিয়ে রাখুন। এবার এই পানি যোগ করুন গাছের মাটিতে।