English

15 C
Dhaka
বুধবার, জানুয়ারি ১, ২০২৫
- Advertisement -

শীতে লেপ-কম্বলের যত্ন নেবেন যেভাবে

- Advertisements -
শীতের রাতে উষ্ণতার সঙ্গী হয়ে ওঠে লেপ-কম্বল। আরামদায়ক ঘুমের জন্য এগুলোর সঠিক যত্ন নেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ দীর্ঘ সময় ধরে ব্যবহার করলে লেপ-কম্বলে ধুলো, জীবাণু বা গন্ধ জমতে পারে। এগুলোর সঠিক রক্ষণাবেক্ষণ করলে যেমন টেকসই ও দীর্ঘস্থায়ী হয়, তেমনি থাকে স্বাস্থ্যকর।
চলুন জেনে নেওয়া যাক লেপ-কম্বলের যত্নের কিছু সহজ কৌশল। 

কাপড়ের ধরন, রঙের বিভিন্নতা, আর ময়লার ধরন বলে দেবে কোনোটাতে দরকার পড়বে লন্ড্রি ওয়াশ, আবার কোনটা ড্রাই ওয়াশ করলেই চলবে।

কম্বলসহ শীতের যেকোনো কাপড়ে বেশি ময়লা ও দাগ পড়লে লন্ড্রি ওয়াশ করা যেতে পারে। তবে লন্ড্রি ওয়াশে কাপড় নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

শীতের যেকোনো পোশাকই ড্রাই ওয়াশের উপযোগী। এ সময় বিশেষ সমস্যায় পড়তে হয় লেপ নিয়ে। ফারের লেপ হলে করিয়ে নিতে পারেন ড্রাই ওয়াশ। শিমুল তুলার লেপ রোদে ভালোভাবে শুকিয়ে নিন।

তবে লেপের কাভার অবশ্যই ধুয়ে নিতে ভুলবেন না।
লেপ-কম্বল পরিষ্কারের উপায়

লেপ-কম্বল ব্যবহারের পর নিয়মিত ধুলো ঝেড়ে নিন। এতে ধুলো-ময়লা ও জীবাণু জমতে পারবে না। সপ্তাহে এক দিন লেপ-কম্বল রোদে রাখুন। সূর্যের তাপে ব্যাকটেরিয়া ও দুর্গন্ধ দূর হয় এবং লেপ-কম্বল মোলায়েম থাকে।

ধোয়ার নিয়ম

লেপ যদি শিমুল তুলার হয়ে থাকে, তাহলে ধোয়া তো দূরের কথা, ড্রাই ওয়াশও করা যায় না। এ ক্ষেত্রে লেপ রোদে দিন। এতে লেপের ওপর থাকা ধুলো পরিষ্কার হয়ে যাবে। লেপের যদি কাভার থাকে, তাহলে সেটি ধুয়ে নিন। লেপ পরিষ্কার না থাকলে অ্যালার্জি হওয়ার আশঙ্কা প্রবল।

তবে কম্বল ধোয়া যেতে পারে। শ্যাম্পুতে মিনিট দশেক ধুয়ে রোদে শুকিয়ে নিন। ঝামেলা এড়াতে লন্ড্রিতে দিয়ে দিতে পারেন। সেখান থেকেই ঝকঝকে করে পাঠাবে আপনার সাধের কম্বল। আর বাড়িতে ধুতে চাইলে হালকা ডিটারজেন্ট ব্যবহার করুন। ভারী ডিটারজেন্ট ফাইবার নষ্ট করতে পারে। আর ঠাণ্ডা পানিতে ধোয়া ভালো। গরম পানি ফাইবার দুর্বল করতে পারে। কম্বল যদি ওয়াশিং মেশিনে ধুতে চান, তবে মেশিনের সেটিংস ‘ডেলিকেট’ বা ‘জেন্টল সাইকেল’-এ রাখুন।

কাঁথার যত্ন

কাঁথা পরিষ্কার করা কষ্টকর কাজ নয়। বাড়িতে অনায়াসেই কাঁথা ধুয়ে নেওয়া যায়। তারপর রোদে শুকিয়ে তা ব্যবহার করুন।

কোট ও লেদার জ্যাকেটের যত্ন

বাড়িতে এ ধরনের জ্যাকেট পরিষ্কার করা সম্ভব নয়, তাই এগুলো অবশ্যই লন্ড্রিতে দিয়ে দিন। এগুলো কখনোই রোদে দেওয়া উচিত নয়। জ্যাকেট কয়েক বছর পুরনো হয়ে গেলে ভেতরের লাইনিং পালটে নিন।

সোয়েটারের যত্ন

পশমের জামা বা উলের সোয়েটার উষ্ণ পানিতে না ধুয়ে ঠাণ্ডা পানিতে ধুয়ে নিন। এ সময় অন্য পোশাক একসঙ্গে ধুবেন না। সাবধানে অল্প ঘষে অন্তত তিনবার পানি বদলে ধুয়ে নেবেন। বেশি নিংড়ানোর প্রয়োজন নেই, শুকনো পুরনো তোয়ালেতে মুড়ে শুষে নিন বাড়তি পানি। তবে ধোয়ার সময় পানিতে একটু পাতিলেবুর রস ও ভিনেগার দিয়ে দিতে পারেন। এতে রং ঠিক থাকবে। আর চড়া রোদে এ ধরনের জামাকাপড় শুকাতে দেবেন না, কারণ রং চটে যেতে পারে। পশমের জামা ইস্ত্রি করার সময় অবশ্যই তার ওপর সুতির চাদর বিছিয়ে নিন। সরাসরি পশমের সঙ্গে ইস্ত্রির স্পর্শ যেন না হয়।

বিশেষ টিপস

লেপ-কম্বল ব্যবহারের আগে ও পরে বারবার ঝাড়া দিলে এটি দীর্ঘস্থায়ী হয়। বাজারে পাওয়া যায় এমন বিশেষ কম্বল পরিষ্কারক ব্যবহার করতে পারেন। পোষা প্রাণীর লোম বা ধুলো জমলে ভ্যাকুয়াম ক্লিনার ব্যবহার করুন।

লেপ-কম্বল যত্নের এই পদ্ধতিগুলো শীতকালে আপনার জীবনকে আরামদায়ক ও স্বাস্থ্যসম্মত করে তুলবে। কারণ শুধু উষ্ণতা নয়, সঠিক যত্ন আপনার আরামদায়ক ঘুমের নিশ্চয়তা দেয়। তাই এই শীত মৌসুমে লেপ-কম্বলের সঠিক যত্ন নিয়ে উপভোগ করুন আরামদায়ক রাতের ঘুম।
Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন