ঠান্ডা অনেকেরই সহ্য হয় না। এ কারণে শীতে হাঁচি, কাশি, নাক থেকে পানি পড়া বা ঠান্ডা লেগে জ্বরের মত সমস্যায় ভোগেন অনেকেই। কারও কারও আবার সকালে ঘুম থেকে উঠার সাথে সাথে হাঁচির সমস্যা হয়। এটি ধুলা, আর্দ্রতা এবং অ্যালার্জির কারণে হতে পারে। অতিরিক্ত হাঁচির এই সমস্যাকে বলা হয় অ্যালার্জিক রাইনাইটিস।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অনেক অবাঞ্ছিত কণা নাক দিয়ে শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করায় এমনটা হয়। আবার ঠান্ডা এবং পরিবর্তিত আবহাওয়ার কারণেও হাঁচির সমস্যা হতে পারে। ঘন ঘন এমন সমস্যা হলে ঘরোয়া কিছু প্রতিকার অনুসরণ করতে পারেন। তাহলে সহজেই হাঁচির সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। যেমন-
১. হাঁচি উপশমে মধু ও আমলকী বেশ উপকারী। মধুর সাথে আমলকীর রস বা আমলকী গুঁড়ো মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। সকালে ও সন্ধ্যায় এক চামচ করে খেলে আরাম হবে। এতে সকালে ঘুম থেকে উঠে হাঁচির সমস্যাও কমবে।
২. পুদিনা পাতায় অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে। ঠান্ডা ও ফ্লু সারাতেও এটি বেশ উপকারী। পুদিনা পাতা থেকে চা বানিয়ে পান করলে হাঁচির সমস্যা সেরে যায়।
৩. ঠান্ডা ও হাঁচির মতো সমস্যা থেকে তাৎক্ষণিক মুক্তি পাওয়া যায় ভাপ নিলে। হাঁচির সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পানি ফুটিয়ে তাতে কর্পূর মিশিয়ে ভাপ নিন। এভাবে ভাপ নিলে তাৎক্ষণিকভাবে উপকার পাওয়া যায়।
৪. হাঁচির সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে চাইলে গরম পানি পান করা উপকারী হতে পারে। ঠান্ডা পানি এই সমস্যা বাড়িয়ে তুলতে পারে, তাই হালকা গরম পানি পান করুন।
৫. তুলসির ক্বাথ পান করলে হাঁচি ও ঠান্ডায় উপশম হয়। ক্বাথ তৈরি করতে পানিতে তুলসির সঙ্গে আদা ও গোল মরিচ মিশিয়ে ভালো করে ফুটিয়ে নিন। অর্ধেক হয়ে গেলে কুসুম পানিতে মিশিয়ে পান করুন।
৬. হলুদ এবং রক সল্টে উপস্থিত অ্যান্টি-অ্যালার্জিক, অ্যান্টি-ভাইরাল এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য হাঁচি থেকে মুক্তি দেয়। এই দুটি মসলা গরম পানিতে মিশিয়ে পান করলে হাঁচি ও সর্দির সমস্যা কমে।