শীতের সঙ্গে চলে আসে বাড়তি অলসতা। বিছানার উষ্ণতা ছেড়ে ওঠতে মন চায় না। প্রতিদিনের কাজগুলো করতেও আলসেমি লাগে। তারপরেও ব্যস্ততম জীবনের জন্য সকাল সকাল বিছানা ছেড়ে কাজে বের হতে হয়। একটু সুযোগ পেলেই ঘুমাতে ইচ্ছে করে। এ সময় শরীরচর্চার ইচ্ছেও কমে আসে। বেশির ভাগ সময় বসে কাটানোর ফলে ওজন বেড়ে যেতে পারে।
অলসতা যেন শরীর ও মনে জেঁকে না বসে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। যদিও শীতে অলসতা বিভিন্ন কারণে হতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, সূর্যালোকের সংস্পর্শ কমে যাওয়ার ফলে সেরোটোনিনের মাত্রা কমে যায়। এই জন্য শরীরে অলসতা বেশি অনুভব হয়। শীতে সূর্যের আলোতে কিছুটা সময় কাটানো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি সেরোটোনিনের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে। যা আপনার মেজাজ ও এনার্জি বাড়াতে সাহায্য করে।
শরীরচর্চার আগে স্ট্রেচিং করলে আপনার পেশি চোট-আঘাতের কবল থেকে দূরে থাকে। হাঁটা বা দৌড়ানোর পরে কিছুক্ষণ স্ট্রেচিং করা প্রয়োজন।
বাড়তি ওজন ঝরানোর ক্ষেত্রেও স্ট্রেচিং খুবই কার্যকর হতে পারে। এছাড়াও, ঘরে থেকে বিভিন্নভাবে শরীরচর্চা করতে পারেন। যোগব্যায়াম, হোম ওয়ার্কআউট বা নাচের মতো শরীরচর্চা করুন। এতে শরীর ও মন দুটোই ভালো থাকবে। আবার অলসভাবও কমবে।
এছাড়া, সিজনাল অ্যাফেক্টিভ ডিসঅর্ডার (এসএডি বা স্যাড), ঋতুর সঙ্গে যুক্ত এক ধরনের বিষণ্নতা, শীতের অলসতায়ও অবদান রাখতে পারে। শীতে অনেকেই পর্যাপ্ত পানি পান করেন না। ফলে পানিশূন্যতার সমস্যা দেখা দেয় শরীরে। সব সময় চেষ্টা করুন শীতে শরীর হাইড্রেট রাখতে।