মোজা পরে ঘুমানোর অভ্যাস থাকলে আপনার জন্যই এই লেখা। মোজা পরে ঘুমালে শীতকে বেশ জব্দ করা যায়। কিন্তু এতে ভেতরে-ভেতরে শরীর খারাপ হচ্ছে না তো। মোজা পরে ঘুমালে শরীরে বেশ কয়েকটি পরিবর্তন আসে। মোজা পুরোপুরি পরিহার করতে হবে এমন কথাও নেই। কেমন মোজা পরবেন সেই বিষয়ে গাইড লাইন পাবেন এই লেখায়।
রক্ত চলাচল ব্যহত হওয়ার আশঙ্কা: রাতে টাইট মোজা পরে ঘুমাতে গেলে রক্ত চলাচল ব্যহত হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে। রাতের পর রাত এই অভ্যাস চর্চা করলে ক্ষতিগ্রস্ত হয় পায়ের সজীব কোষগুলো। এমনকি এই ভুলের সুবাদে নার্ভেরও ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
অ্যালার্জি বাড়ে: নাইলনের তৈরি মোজা থেকে সহজেই অ্যালার্জি বাড়তে পারে। নাইলন কিন্তু সবার সহ্য হয় না। ফলে এই মোজা পরে ঘুমালে স্কিন অ্যালার্জির ফাঁদে পড়ার আশঙ্কা আছে। সুতি মোজা পরলে স্বাস্থ্য ঝুঁকি কম। অন্ততপক্ষে অ্যালার্জি থেকে বেঁচে যাবেন। তবে একেবারে নতুন মোজা নয় বরং সেগুলো ভালোভাবে কেচে ধুয়ে তারপর পরুন।
ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ: অনেকেই একই মোজা সকাল থেকে রাত পর্যন্ত পরে থাকেন। এর ফলে মোজার ভেতরে বাসা বাঁধে অসংখ্য ব্যাকটেরিয়া। এইসব ব্যাকটেরিয়া হাত হয়ে মুখ দিয়ে শরীরে প্রবেশ করে। এমনকি এসব জীবাণু স্কিন ইনফেকশনের কারণ হতে পারে।
শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যেতে পারে: রাতে টাইট মোজা পরে ঘুমালে শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যেতে পারে। শরীরের অস্বাভাবিক তাপমাত্রার কারণে পানিশূন্যতা, পেটের সমস্যা এবং কোষ্ঠকাঠিন্যসহ একাধিক জটিল রোগে আক্রান্ত হতে পারেন।
চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা বলেন, প্রতিরাতে মোজা পরে শুতে গেলে শরীরে অস্বস্তি বোধ হতে পারে। আর সেই সুবাদে ঘুম নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা আছে। মোজা যদি পরতেই হয় তাহলে তুলা বা বাঁশের ফেব্রিক থেকে তৈরি মোজা পরতে পারেন- এমনটাই বলা হয়েছে টাইমস অব ইণ্ডিয়ার প্রতিবেদনে।
গবেষকরা বলছেন মোজা পরে ঘুমাতে হলে তিনটি দিক খেয়াল রাখতে হবে। মোজাগুলো আঁটসাঁট হওয়া চলবে না, নিঃশ্বাস গ্রহণে কোনো সমস্যা তৈরি করবে না এবং অবশ্যই মোজাগুলো পরিষ্কার থাকতে হবে।