English

24 C
Dhaka
বুধবার, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২৫
- Advertisement -

শিশুর ডায়াপারের খরচ কমানোর উপায়

- Advertisements -

বাড়ির নবীনতম সদস্যটির বয়স যতই কম হোক না কেন, তার জন্যও থাকে আলাদা খরচ। শহুরে মা-বাবার একটা বড় খরচ হয় ডায়াপার কিনতে। আধুনিক জীবনধারায় শিশুর জন্য প্রয়োজনীয় এক অনুষঙ্গ ডায়াপার। হুট করে এই খরচ বন্ধ করে দেওয়া মুশকিল। তার চেয়ে বরং জেনে নিন, কীভাবে খানিকটা কমানো যায় ডায়াপারের খরচ, আর শিশুও থাকে নিরাপদ।

একটা সময় ডায়াপার ছাড়াই সন্তানদের বড় করে তুলেছেন অভিভাবকেরা। তবে তখন শিশুকে অনেকটা সময় দিতে পারতেন তাঁরা। জীবনধারা ছিল অনেকটাই সরল। আধুনিক শহুরে জীবনে অনেক পরিবারের মা-বাবা দুজনই কর্মজীবী। আবার মা বাড়িতে থাকলেও পরিবারের সদস্যসংখ্যা কম হওয়ায় সাংসারিক দায়িত্বের পুরোটাই থাকে তাঁর কাঁধে। সন্তান লালন–পালনের কাজটা সহজ করতে তাই ডায়াপার-নির্ভর হয়ে পড়েন অনেক মা-বাবাই। যদিও শিশুর ত্বকের সুরক্ষায় ডায়াপারের ব্যবহার সীমিত রাখাই ভালো।

নির্ভরশীলতা কমাতে কিছু ব্যবস্থা

ডায়াপারের প্রতি নির্ভরশীলতা কমাতে আপনি বাড়িতে কিছু বাড়তি অনুষঙ্গের ব্যবস্থা করতে পারেন। শিশুর বিছানা ও খেলার জায়গায় ইউরিন ম্যাট বিছিয়ে দিতে পারেন কিংবা রেক্সিনজাতীয় সামগ্রীর ওপর চাদর বিছিয়ে রাখা যায়। তবে শিশুর দেখভালের দায়িত্বে যিনিই থাকুন না কেন, তিনি যেন খেয়াল রাখেন, শিশু প্রস্রাব-পায়খানা করছে কি না। কারণ, ভেজা কাপড়ের সংস্পর্শে শিশুর সহজেই ঠান্ডা লেগে যেতে পারে। তা ছাড়া জীবাণু সংক্রমণেরও আশঙ্কা থাকে। কেবল বাইরে নিয়ে যাওয়ার সময় শিশুকে ডায়াপার পরাতে পারেন। ডায়াপার যত কম পরানো হবে, শিশুর ত্বকে র্যাশ ও অন্যান্য সমস্যা হওয়ার ঝুঁকি ততই কম হবে।

ডায়াপার কেনার সময়

• ডায়াপার কেনার সময় বেশি পরিমাণে কিনতে পারেন। তাতে খরচ কিছুটা কম পড়তে পারে। তবে শিশু দ্রুত বাড়লে কিন্তু কিছুদিন আগে কেনা ডায়াপার আর তার কাজে আসবে না। এটিও মাথায় রাখুন। বরং পাইকারি দরে কিনতে পারেন কয়েকজন মিলে, যাঁদের সন্তানের বয়স কাছাকাছি।

• বন্ধু-স্বজনদের মধ্যে কারও সন্তান বড় হয়ে গিয়ে থাকলে তাঁর কাছে অব্যবহৃত ডায়াপার রয়েছে কি না, সেই খোঁজও নিতে পারেন। সেসব আপনার সন্তানের কাজে লাগতে পারে।

• প্রচলিত ডায়াপারের বিকল্প হতে পারে কাপড়ের ডায়াপার। এসব বহুদিন টেকে, তাই সাশ্রয়ী। ঠিকভাবে পরিষ্কার করা হলে এসব শিশুর জন্য নিরাপদও বটে।

চাই টয়লেট ট্রেনিং

শিশুকে টয়লেট ট্রেনিং দেওয়া খুবই জরুরি। শিশু বসতে শিখলেই তার উপযোগী পট কিনে দিন। নির্দিষ্ট সময় অন্তর শিশুকে পটে বসান। খাওয়ার পর, ঘুম থেকে ওঠার পর, বাইরে যাওয়ার আগে ও ঘুমানোর আগের সময়টায় তো বটেই, তার প্রস্রাব-পায়খানা করার সময় অনুসরণ করে দিনে ও রাতে নির্দিষ্ট কিছু সময়েও তাকে পটে বসান। এভাবে ধীরে ধীরে সে এতে অভ্যস্ত হবে।

আর শিশুকে এমন প্যান্ট বা পায়জামা পরাবেন, যা খোলা সহজ। অধিকাংশ শিশু কিন্তু ইশারা বা নিজের ভাষায় নিজের প্রস্রাব-পায়খানার প্রয়োজনীয়তার কথা বোঝাতে পারে। এমনকি ভাষা কিংবা ইশারা করতে পারারও আগে থেকে শিশুর আচরণে ক্ষুদ্র ও আকস্মিক পরিবর্তন হয় প্রস্রাব-পায়খানা করার সময়।

আপনার শিশুর এসব পরিবর্তন বুঝতে চেষ্টা করুন। মা-বাবা ছাড়া যিনি শিশুর দেখভাল করেন, তাঁকেও বুঝিয়ে দিন। খেয়াল করতে বলুন শিশুকে। তাহলে প্রয়োজনের সময় শিশুকে পটে বসানো সহজ হবে। পটে বসার বয়স হওয়ার আগেও যদি শিশুর এ ধরনের আচরণ বুঝতে পারেন, তা হলে সন্তান লালন–পালন নিঃসন্দেহেই অনেকটা সহজ হয়ে যাবে। এভাবে কিন্তু শিশুর সঙ্গে অভিভাবকের একধরনের বোঝাপড়াও গড়ে ওঠে।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন