কথায় আছে ‘পান্তা ভাতের জল, তিন পুরুষের বল’। এ শুধু মুখের কথা না, সত্যিই তাই! আসাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক জানিয়েছেন, পান্তা ভাতের কোনো অপকারিতা খুঁজে পাওয়া যায়নি।
পুষ্টিবিদরা বলছেন, পান্তা ভাত খেলে শরীর ঠান্ডা থাকে। বলা যায় পান্তা ভাতের শরবত খেলে শরীর শুধু ঠান্ডাই থাকবে না প্রশান্তিও মিলবে। জেনে নিন এই পুষ্টিকর শরবতের রেসিপি।
প্রণালি: সাদা ভাত ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে। এরপরে প্রথমে পান্তাভাত ভালো করে চটকে নিতে হবে।
এতে পরিমাণ মতো পানি মিশিয়ে নিতে হবে। তারপর এতে একে একে ভাজা জিরার গুড়া, সামান্য আদা কুচি, কাঁচামরিচ, কয়েকটি কারিপাতা, লেবুর স্লাইস এবং পরিমাণমতো লবণ দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। এরপরে সামান্য চিনি দিতে পারেন। পুরো মিশ্রনটি আধা ঘণ্টা ঢেকে রাখুন। তারপর গ্লাসে ঢেলে পরিবেশন করুন ঠান্ডা ঠান্ডা পান্তা ভাতের শরবত।
উল্লেখ্য, সাধারণ ভাতের তুলনায় অধিক পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ পান্তা ভাত। সাধারণ ভাত পরিষ্কার পাত্রে বিশুদ্ধ পানিতে দীর্ঘ সময় রেখে পান্তা ভাত তৈরি করতে হয়। ভাত ভিজিয়ে রাখার পাত্রটি অপরিষ্কার হলে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ হতে পারে।