বেশির ভাগ মানুষই যথেষ্ট ‘ভিটামিন ডি’ পায় না। শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই প্রায় ৪০ শতাংশ মানুষের ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি রয়েছে। যদিও কিছু খাবার থেকে এটি পাওয়া সম্ভব, তবে এর প্রধান কারণ হলো সূর্যের আলোতে পর্যাপ্ত সময় না থাকা।
আমরা সবাই জানি- যথেষ্ট সূর্যের আলো পাওয়া সবসময় সম্ভব নয়, বিশেষত শীতকালে। এর পরিবর্তে আমরা ভিটামিন ডি-এর মাত্রা বাড়ানোর জন্য স্বাস্থ্যসম্মত উপায়গুলো অনুসরণ করি। যেমন-
সঠিকভাবে রক্তে ‘ভিটামিন ডি’ পরিবাহিত করার জন্য ম্যাগনেসিয়াম অপরিহার্য। ন্যাশনাল লাইব্রেরি অব মেডিসিনের প্রতিবেদনে বলা হয়- ‘ম্যাগনেসিয়াম ভিটামিন ডি সক্রিয় করে, যা ক্যালসিয়াম এবং ফসফেটের ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণ করে হাড়ের বৃদ্ধি এবং রক্ষণাবেক্ষণে প্রভাব ফেলে।’ অন্যভাবে বললে, ম্যাগনেসিয়ামের ঘাটতি ভিটামিন ডি-এর ঘাটতিকে বাড়িয়ে তুলতে পারে।
যদি আপনি ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি নিয়ে উদ্বিগ্ন হন, তবে এটি প্রায়ই ১০০,০০০ ওট-এর বেশি ডোজের অ্যাম্পুল গ্রহণ করার লোভনীয় হতে পারে। তবে এটি দীর্ঘমেয়াদে রক্তের স্তর ধরে রাখার জন্য কম কার্যকর বলে মনে হয়, বরং প্রতিদিন ৮০০ থেকে ২০০০ IU-এর মতো ছোট, নিয়মিত ডোজ গ্রহণ করা বেশি কার্যকর।
ভিটামিন ডি এক ফ্যাট-দ্রবণীয় ভিটামিন। যা স্বাস্থ্যকর ফ্যাটযুক্ত খাবারের সঙ্গে গ্রহণ করা ভালো। যেমন- অ্যাভোকাডো, বীজ, বাদাম, ম্যাকারেল, সার্ডিন এবং স্যামন। গবেষণায় দেখা গেছে, এটি দিনের বড় খাবারের সঙ্গে গ্রহণ করলে এর উপকারিতা সর্বাধিক হয়।